নাগপুরে প্রবল বৃষ্টিতে দশ হাজার ঘর জলের তলায়

নাগপুরে প্রবল বৃষ্টিতে দশ হাজার ঘর জলের তলায়
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত নাগপুর। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে শহরের একাংশ ডুবে গেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর হচ্ছে। প্রশাসনসূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দশ হাজার বাড়ি জলের তলায় ডুবে গেছে। বন্যার কারণে এখনও পর্যন্ত চারজনের মৃত্যূ ঘটেছে। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, শনিবার গোটা দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হয়েছে নাগপুরে। এখানকার সুরেন্দ্রগড় অঞ্চলে প্রবল ভারী বৃষ্টির জেরে একটি বাড়িতে বন্যার জল ঢুকে যায়। এই ঘটনায় এক পঙ্গু মহিলার মৃত্যু ঘটেছে। বিপর্যয় বাহিনী তাঁর দেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গিত্তিখাদানে এক বৃদ্ধার মৃত্যু ঘটেছে। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। এছাড়া ধানতলি এলাকায় একটি নর্দমার কাছে এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। সঞ্জয় গাদেগাওকর নামে এক চা বিক্রেতার বন্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের দশ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ছোট এবং বড় দোকানগুলিকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে নাগপুরে কার্যত দিশাহারা। উদ্ধারকার্যে নেমেছেন স্থানীয় মানুষ, রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১৪০জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নাগপুরের কোথাও কোমর সমান জল বা বুক সমান। সেই জল ঠেলেই মানুষজন এগিয়ে চলেছেন। কোথাও দেখা যাচ্ছে, বাসগুলি জলে পুরোপুরি নিমজ্জিত। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ১০০ থেকে ১২৫ মিমি টানা বৃষ্টি হয়েছে নাগপুরে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় ভারীয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উদ্ধারকার্যে নামা এক সেনাবাহিনীর জওয়ান জানিয়েছেন, ‘‘আমরা যখন উদ্ধারের কাজ শুরু করলাম তখন কোমর সমান জল ছিল। আধ ঘণ্টার মধ্যেই তা কাঁধে পৌঁছে যায়। বাসিন্দাদের বোটে করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দুর্গতদের ত্রাণ দেওয়া হয়েছে।’’


