শিক্ষক দিবসে ছাগল চরিয়ে, বাটি হাতে ভিক্ষে করলেন শিক্ষকরা! হাওড়ার ঘটনায় তাজ্জব সকলে

শিক্ষক দিবসে ছাগল চরিয়ে, বাটি হাতে ভিক্ষে করলেন শিক্ষকরা! হাওড়ার ঘটনায় তাজ্জব সকলে
সুলেখা চক্রবর্তী, হাওড়া
৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস। আর এদিনই ছাগল চরিয়ে, হাতে বাটি নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা গেল শিক্ষকদের। তাতে তাজ্জব বনে গেলেন পথ চলতি মানুষ।
NSQF ( ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক) বৃত্তিমূলক শিক্ষা দান কারী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের একাংশ সোমবার হাওড়া স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাটি হাতে ভিক্ষা করে প্রতিবাদে সামিল হন। সঙ্গে ছাগলও চরান তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয সরকারের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্ভুক্ত এই সকল শিক্ষকদের রাজ্যের কারিগরী দপ্তরের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু সেই নিয়োগটি চুক্তি ভিত্তিক এবং এজেন্সির মাধ্যমে তাঁদের পাওনা গন্ডা পেতে হয়। বিভিন্ন সরকারি ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষা প্রদানের কাজে তাঁরা নিযুক্ত।
তাঁদের মাসিক কুড়ি হাজার টাকা বেতন হলেও সামাজিক সুরক্ষার কোনো সুযোগ সুবিধাই পাননা। এমনটাই তাঁদের অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বিগত বেশ কয়েকমাসের বেতন বকেয়া রয়েছে।
চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের পরেও কিছুমাস ছাড়া ছাড়াই নাকি তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হয় এবং পরীক্ষার অজুহাতে শিক্ষকদের ছাঁটাই করা হয়। প্রায় ১৩০০ কর্মীর মধ্যে প্রায় ৩৫০ জন ল্যাব কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে। একদিকে অনিয়মিত বেতন, তার সাথে কর্মহীন হয়ে পড়ার আতংকে তাঁরা আতঙ্কিত ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। এর আগে বহুবার তাঁরা তাঁদের দাবি নিয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানালেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। শিক্ষিত হয়ে এভাবেই যদি যন্ত্রণার সাথে তাঁদের চলতে হয়, তার থেকে ভিক্ষা করা ভালো। তাই তাঁরা এদিন বাটি হাতে ভিক্ষা করতে পথে নামেন। এভাবে শিক্ষকতার চেয়ে ভিক্ষা করা এবং ছাগল চরানোকে বেছে নেওয়া ভালো বলে মনে করছেন তাঁরা।
এই শিক্ষকদের দাবি, সরকারি স্বীকৃতি দিয়ে স্থায়ীকরণ, সেইমতো বেতন কাঠামো ও ছাঁটাই হওয়া ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টদেরও বিদ্যালয়ে পুনর্বহাল করতে হবে। এছাড়াও অবিলম্বে তাঁদের বকেয়া বেতন মেটাতে হবে।
এই দৃশ্য দেখে পথ চলতি সাধারণ মানুষের বক্তব্য এটা সমাজের কাছে একটা লজ্জ্বা। সরকারের অবিলম্বে এইসব শিক্ষিকদের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত।


