স্কুলে গিয়ে কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্র, তোপের মুখে বিদ্যুৎ দফতর

স্কুলে গিয়ে কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্র, তোপের মুখে বিদ্যুৎ দফতর
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, বালুরঘাট: দুর্ঘটনায় বালুরঘাটের ডামগ্রাম এলকায় আহত চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্র। কাঁঠাল পাড়তে গিয়ে ১১ হাজার ভোল্টের তার হাতে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় এই কিশোর। স্কুলের ছাদে উঠে কাঁঠাল পাড়তে গিয়েছিল রোহিত ওঁরাও। সেই সময়ই হাইভোল্টেজ তার হাতে লাগে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার অন্তর্গত ডাঙাগ্রাম পঞ্চায়েতের জঙ্গলপুর এফপি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের ঔদাসিন্যেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ১১ হাজার ভোল্টের তারটি বেশ কিছুদিন ধরেই বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিল। আহত ছাত্রকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রোহিত শুক্রবার তার এক বন্ধুর সঙ্গে স্কুলের ছাদে উঠে পাশে থাকা একটি গাছ থেকে কাঁঠাল পাড়ার চেষ্টা করেছিল। ছাদের পাশ দিয়েই গিয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎবাহী তার। স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎবাহী তার হাতে লাগতেই রোহিতের শরীরে আগুন লেগে যায়। সেখান থেকে রোহিতকে উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটার পর বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ওমপ্রকাশ মিশ্র জানিয়েছেন, ‘‘স্কুলের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই ছাত্ররা এসেছিল। ছাদের উঠে ফল পাড়তে গিয়েছিল। ছাদের উপরে ওই হাইভোল্টেজ তারটিতে হাত লেগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমাদের স্কুলের তরফে বহুবার বিদ্যুৎ দফতরকে বলা সত্ত্বেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার শুভময় সরকার বলেন, ‘‘এটা আমাদের নজরে ছিল না। ঘটনা ঘটার পর গ্রামবাসীরা আমাদের জানালে সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা গিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি তারটি কেটে দেওয়া হয়েছে। এবং তারটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা আহত ছাত্রটির পরিবারের পাশে আছি। সবরকম সহযোগিতা করব।’’


