সালানপুরের খোলা মুখ কয়লা খনি থেকে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ

সালানপুরের খোলা মুখ কয়লা খনি থেকে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: শুক্রবার সকালে আসানাসোলের সালানপুর এলাকার একটি খোলা মুখ কয়লাখনি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক ছাত্রির দেহ। মৃতের নাম ঊষা বাউরি। সে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
সালানপুরের সামডি গ্রামের বাসিন্দা ঊষা বৃহস্পতিবার বিকালে দোকানে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু রাতেও সে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তা পড়ে।
আজ সকালে সালানপুরের খোলামুখ খনির খাদে তার দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও সিআইএসএফ জওয়ানরা। লোকালয় থেকে তুলনায় নির্জন এলাকাতে ওই খোলামুখ খনি। সেখানে কি কিরে এল তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (ওয়েস্ট) অভিষেক মোদী বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে সবিস্তার রিপোর্ট নিয়ে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’’
ঊষার বাবা বরুণ বাউড়ি বলেন, “দুপুরবেলায় বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করার পর আমার মেয়ে বিকেলবেলা বাইরে গিয়েছিল। তার পর থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। সারা রাত ধরে আমরা খোঁজাখুঁজি করেছি। যাদের সঙ্গে পড়াশোনা করে, তাদের বাড়িতেও গিয়েছিলাম। সেখানেও যায়নি। শুক্রবার আমরা সকলে মিলে দেখতে পাই, খনিতে পড়ে রয়েছে ঊষা। কী ভাবে মৃত্যু হল ওর কিছুই বুঝতে পারছি না?’’
সকালে আলকুশা গ্রামের কাছে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় ৩০০ ফুট নীচ থেকে দেহটি উদ্ধার করেন পুলিশ এবং সিআইএসএফ জওয়ানরা।
আসানসোল কয়লাখনি অঞ্চলে এই খোলামুখ খনিই সবচেয়ে বিপজ্জনক। তাই এসব সাধারণত লোকালয় থেকে দূরেই থাকে। এতদিন সাধারণত খোলামুখ খনিতে কয়লা তুলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শ্রমিকরা, এমন খবরই পাওয়া যেত। কিন্তু সাধারণ মানুষজনের এই এলাকায় প্রবেশ প্রায় নিষিদ্ধ হওয়ায় এই ধরনের মৃত্যুর খবর মেলেনি। ফলে খোলামুখ খনির মরণফাঁদে কীভাবে পড়ল এই ছাত্রী, তা বেশ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।



