অদ্ভূত আঁধারে এ কী অদ্ভূত খেলা!

অদ্ভূত আঁধারে এ কী অদ্ভূত খেলা!
05 Apr 2020, 10:40 PM

অদ্ভূত আঁধারে এ কী অদ্ভূত খেলা!

সুমন ঘোষ

অদ্ভূত আঁধার। এ আঁধার অদ্ভূত তো বটেই। যেখান থেকে বেরোনোর পথ কী? দূরে কোথাও যাচ্ছে কী দেখা, আলোর সন্ধান!

ভারতের থেকে অনেক উন্নত। সব দিক দিয়েই। এটা একটা বাচ্চা ছেলেও জানে। সেই আমেরিকার আজ কী অবস্থা। চলতি কথায় বলতে গেলে, পটাপট মরছে মানুষ। এ আঁধার থেকে বেরোনোর মতো কোনও আলোর এখনও সন্ধান পায়নি আমেরিকাও। বিশ্বের সব দেশের অবস্থা তাই। ভারত এখনও কিছুটা স্বস্তিতে। কিন্তু কতটা? তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। কত জন মানুষের পরীক্ষা হয়েছে, সব অসুস্থদের চিহ্নিত করা গিয়েছে কিনা, এমন নানা প্রশ্ন তো উঠবেই। সে সব বিতর্কে না গিয়ে যে বিষয়টি জরুরি, তা হল যদি গৃহবন্দি থাকা যায়, তাহলে সংক্রমণ অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। শুধু নিজের ভালো নয়, তাতে ভালো সমাজের, দেশের।

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিক রাত ন’টায়, ন’মিনিট বাড়ির আলো বন্ধ রেখে প্রদীপ জ্বালাতে বললেন। নিদেন পক্ষে মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট।তার পিছনে সংক্রমণ রোধের কী ওষুধ আছে জানা নেই। প্রধানমন্ত্রীও অবশ্য সে কথা বলেননি। তিনি শুধু এর মধ্যে একতা দেখতে চেয়েছেন। আর তা দেখাতে গিয়ে মানুষ দেখালেন?প্রদীপ জ্বাললেন, মোমবাতি জ্বাললেন, টর্চের আলোও জ্বাললেন কেউ কেউ। কিন্তু তারই সঙ্গে দেখা গেল, কেউ বাজি ফাটালেন। শুধু আতসবাজিতে ক্ষান্ত ছিল না। ছিল শব্দদানবও!

অদ্ভূতভাবে দেখা গেল, কারও কারও আবার মনে পড়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর ক’দিন আগের দাওয়ায়ই। সজোরে তাই ভেসে এলো শঙ্খধ্বনি, কাঁসর ঘন্টারও আওয়াজও!

এই অদ্ভূত আঁধারে ডুবেও এমন অবস্থা। এ কী আনন্দে। না কোনও বিকারে। ক’দি‌ন লকডাউনে থেকেই মানুষ কী ভুলে যাচ্ছে করোনার বিপদের কথা। নাকি ভেবে নিয়েছে, এবার করোনাকে জয় করে নিয়েছে। এর থেকে নিষ্কৃতি না মিললে কিন্তু করোনা মোকাবিলা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই ধরণের আচরণ থেকে মানুষকে বিরত করে করোনার ভয়ঙ্কর দিকটা আরও ভালো করে বোঝানো জরুরি। জরুরি সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বাধ্য করা। নতুবা সমূহ বিপদের মুখে পড়তে হবে সারা দেশকেই।

Mailing List