পা ফেললেই মৃতদেহ! লিবিয়া জুড়ে লাশের পাহাড়, মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

পা ফেললেই মৃতদেহ! লিবিয়া জুড়ে লাশের পাহাড়, মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: মৃত্যুর হাহাকার লিবিয়া জুড়ে। চারিদিক থেকে পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়া দুষ্কর। উদ্ধারকার্যে যারা প্রাণপাত করছেন, তাঁদের পা ফেলতে হচ্ছে সতর্কভাবে। কারণ, কোথাও পড়ে রয়েছে মৃতদেহ। কোথাও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কাটা হাত-পা। সবসময় কান খাড়া করে রাখতে হচ্ছে তাদের। কারণ, ধ্বংসস্তুপ থেকে কখনও কখনও ক্ষীণ চিৎকারে ভেসে আসছে বাঁচানোর আর্তি। ভয়ঙ্কর সুপার সাইক্লোন ‘ড্যানিয়েল’-র তাণ্ডবে বিধ্বস্ত লিবিয়ার ডারনা ও বেনগাজি শহরের এই চিত্র। রাস্তাঘাট ভেঙে চৌচির। জলের তোড়ে সবকিছু ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল গত রবিবার সর্বশক্তি নিয়ে লিবিয়ার উপর আছড়ে পড়ে। যার জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ডারনা ও বেনগাজি। অসংখ্য মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে লিবিয়া থেকে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছ’হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। নিখোঁজের সংখ্যা ৪০ হাজারেরও বেশি। ভেসে গেছে আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো শহর। ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে ডারনার দুই-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়েছে। পুরো জনপথটাই চাপা পড়ে গেছে কাদামাটির নিচে। শহর থেকে মুছে গেছে হাসপাতাল নামক শব্দটিও। হাসপাতাল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আহতদের নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে শহরের সব অ্যাম্বুল্যান্স জলের তোড়ে ভেসে গেছে। যত্রতত্র পড়ে থাকা মৃতদেহের সৎকারের জন্য শহরের বিভিন্ন স্থানে গণকবর খোঁড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই মিশর, আমেরিকা, জার্মানি, ইতালি, কাতার, তুরস্ক, থেকে সাহায্য এসে পৌঁছেছে। কিন্তু যাতায়াতের সমস্যা ও অভ্যন্তরীণ কারণে সঠিক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসা হচ্ছে না আহতদেরও। এসে পৌঁছেছেন রেড ক্রশের সদস্যরা। তাদের বক্তব, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছ’হাজারও হতে পারে। উদ্ধারকার্যেও সমস্যার কথা তাঁরাও জানিয়েছেন।


