প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে জেলায় জেলায় বিশেষ অফিসার! কেন্দ্র টাকা আটকাতেই নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্যের

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি রুখতে জেলায় জেলায় বিশেষ অফিসার! কেন্দ্র টাকা আটকাতেই নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্যের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা যোগ্য ব্যক্তিরা পাচ্ছে কিনা, তা দেখতে প্রতিটি জেলায় একজন করে বিশেষ আধিকারিককে দ্বায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। একজন করে সিনিয়র আইএএস অফিসার বা ডব্লুবিসিএস অফিসারকে ওই কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে পঞ্চায়েত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা আনতে ইতিমধ্যে জেলা শাসক, মহকুমাশাসক, বিডিওদের ভূমিকা রাজ্য সরকার নিশ্চিত করে দিয়েছে। এবার একজন করে পদস্থ আধিকারিক ঐ প্রকল্পের দেখাশোনা করবেন। এর আগেই যাতে যোগ্যরা আবাস যোজনার টাকা পায়, তা নিশ্চিত করতে একগুচ্ছ গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি কারা আবাস যোজনা সুযোগ পাবেন তা নিশ্চিত করতে ১৫ দফা শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, কেউ অতীতে ইন্দিরা আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি বা অন্য কোনও সরকারি আবাসন প্রকল্পের সুবিধে পেয়ে থাকলে, কোনও ভাবেই এ বারের প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তাঁদের পাকা বাড়ি থাকলেও তার আবেদন আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য বিবেচনা করা হবে না। আবেদনকারীর পরিবারের কারও মাসিক আয় দশ হাজার টাকার বেশি হলে, পরিবারের কেউ সরকারি চাকরিজীবী হলে কিংবা আয়কর বা বৃত্তিকর দিলে তাঁরাও এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন না। এমনকী কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যিনি ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি ঋণ নিয়েছেন, যাদের বাড়িতে রঙিন টিভি-ফ্রিজ-এসি আছে, বাড়িতে ল্যান্ডলাইনের ফোন আছে, যন্ত্রচালিত নৌকো বা কৃষি সরঞ্জাম রয়েছে, গাড়ি বা ট্রাক্টর রয়েছে, আড়াই একর বা তার বেশি কৃষিজমি রয়েছে, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত অকৃষি জমি রয়েছে তাঁরা কেউ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবার যোজনার নাম পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কিছু টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। যা নিয়ে তীব্র সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরবর্তীকালে আবাস যোজনায় কেন্দ্র টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ফের বেশ কিছু শর্ত আরোপ করে।


