ইকবাল রাশেদীন এর কবিতা

ইকবাল রাশেদীন এর কবিতা
ইকবাল রাশেদীন
নিঃসঙ্গতা
আমি আর বার্সেলোনা পাহাড় বেয়ে হাঁটছিলাম
ফারিহা এর মধ্যে আমাকে দুই-তিনবার ফোন করে ফেললো
বার্সেলোনা বলল, তুমি কার ফোনকে এতো গুরুত্ব দিয়ে রিসিভ করছ
আমি বললাম, সে আমার স্ত্রী
বার্সেলোনা আমার দিকে তাকিয়ে আবার পাহাড়ে পা ফেললো — আচ্ছা, সে তোমার স্ত্রী!
বার্সেলোনা, পাহাড়, ফারিহা আর কিছু উড়ন্ত বাতাস নিয়ে আমি হাঁটছিলাম
............
দোঁহে
মেরি এন্ডারসনে তখন নিরাপদ মদ পাওয়া যেত
আর আমরাও সবে ঢাকায় এসেছি দোঁহে
এবং মদ কী করে খেতে হয় তা আয়ত্তে আসেনি কারও
বুড়িগঙ্গা তখনও কিছু কিছু ঢেউ দিত
উড়েযাওয়াপাখির হয়ে ওঠা ছোটো বিন্দুর মতো
প্রমোদ নৌকাগুলি গাঢ় সন্ধ্যার ঢেউয়ে
দুলতে দুলতে মিলিয়ে যেত বা আধাঁরে যৌবন
সেইক্ষণে আমরা দু'জন খেলতাম সাড়ে তিন পেগে
যুবতি গঙ্গার কোমল ঢেউয়ের ডগায়
................
ঘ্রাণ
কালোসবুজ একটি লিকলিকে হাত
হাতে কাঁচের চুড়ি – মধ্যরাত
বৃষ্টি ঝরছে
ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় তির্যক বৃষ্টির
ফোঁটা
নেমে আসছে স্বর্গ
থেকে যেন
এই মধ্যরাতে আমার জানালায় জানিনা
প্রজাপতি কোথা থেকে এলো
সাথে জলপাই বুনো তুলসির গন্ধ
দূরে কালোসবুজ একটি হাত
ক্রমাগত পুরোনো সংগীত বাজিয়ে চলেছে
..........
লেখক: কবি ও নাট্যকার, ঢাকা, বাংলাদেশ


