ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে শুরু ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির

ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে শুরু ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির
অদ্রিজা বেরা, ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের পাশাপাশি জেলার ৮ টি ব্লকেই শনিবার থেকেই শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরে উপভোক্তাদের ভিড় ছিল ভালো। ঝাড়গ্রাম পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড ও দুই এবং তিন নম্বর ওয়ার্ডে শনিবার দুয়ারে সরকার শিবির হয়। ওই এলাকার মানুষজন দুয়ারে সরকার শিবিরে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দেন। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনী সি আর ডি হাই স্কুল এবং লাউদহ হাইস্কুলে বসেছে দুয়ারে সরকার শিবির । ওই দুটি অঞ্চলের দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শন করেন সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ,সেচ ও সমবায় দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ কমলকান্ত রাউৎ। তিনি দুয়ারে সরকার শিবিরে আশা মানুষ জনের সাথে কথা বলেন এবং তাদের সহযোগিতা করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় যে শনিবার দুয়ারে সরকার শিবিরে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কারন যাদের কাস্ট সার্টিফিকেট ছিল না তারা কাস্ট সার্টিফিকেট করিয়ে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন পত্র জমা দিচ্ছেন। বিধবা ভাতার ও বার্ধক্য ভাতার জন্য অনেক আবেদন জমা পড়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের জন্য আবেদন পত্র জমা পড়েছে ।
তার পাশাপাশি কাস্ট সার্টিফিকেট এর জন্য বহু আবেদন জমা পড়েছে। সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি ,সেচ ও সমবায় দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ কমলকান্ত রাউত বলেন সাঁকরাইল ব্লকের প্রতিটি এলাকায় শনিবার ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরে এলাকার মানুষজন উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন। ঝাড়গ্রাম জেলার জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল বলেন শনিবার থেকে ১০ই এপ্রিল পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে। ওই আবেদনপত্র গুলি খতিয়ে দেখার পর ১১ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত পরিষেবা প্রদান শিবির করা হবে। শনিবার ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবিরের প্রথম দিন মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, শান্তিপূর্ণভাবে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে ষষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার শিবির হয়েছে। বিভিন্ন শিবিরে প্রশাসনের আধিকারিকরা ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সামিল হয়েছিলেন বলে তিনি জানান।


