শুভেন্দু আছেন আবার নেই, জল্পনার মাঝেই চাপ বাড়ছে তৃণমূলে

শুভেন্দু আছেন আবার নেই, জল্পনার মাঝেই চাপ বাড়ছে তৃণমূলে
08 Nov 2020, 06:47 PM

শুভেন্দু আছেন আবার নেই, জল্পনার মাঝেই চাপ বাড়ছে তৃণমূলে

২০২১-এর বিধানসভা  নির্বাচনের আগে শাসকের ঘুম কেড়ে নিতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে বিরোধীরা। আর এই আবহে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরের পরের দিন অর্থাৎ বুধবার রাজ‍্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্। পাশাপাশি তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে সাম্প্রতিক শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা। কারণ তাঁর সাম্প্রতিক কিছু মন্তব‍্য রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছে। তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের মধ‍্যে আছে, ''আমি প‍্যারাস‍্যুটেও নামিনি, লিফটেও উঠিনি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে ভাঙতে, ভাঙতে উঠেছি।" "আমি আমি করলে চলবে না।" "দম্ভ ছাড়তে না পারলে পতন নিশ্চিত।" "ঐ ছোটলোকদের দিয়ে বলিয়ে কোন লাভ নেই।" এর আগে ববি হাকিম বলেছিলেন, রথ ভাবে আমি দেব, পথ ভাবে আমি.....।" এর পরিপ্রক্ষিতে এমন নানা তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব‍্য করেন মেদিনীপুরবাসীর কাছের মানুষ 'দাদা'। অন‍্যদিকে সাংসদ এবং মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক শিশির অধিকারীর ছেলে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গে (সম্ভবতঃ) তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব‍্য করেছেন। তিনি বলেছেন,"মাল বুঝে কিনুন। দোকানে ভালো-মন্দ সব মাল থাকে। নতুন দোকান হলে তারা মাল কেনার জন‍্য লোককে ডাকবেই, যাওয়া না যাওয়া ব‍্যক্তিগত বিষয়।" সেইসঙ্গে জেলার কোন দায়িত্বে শুভেন্দু অধিকারী নেই।ফলে শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে জল ক্রমশ গড়াচ্ছে এবং জল্পনা বাড়ছে। এর মাঝে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে 'দাদার পাশে আছি', এমন প্রচুর হোর্ডিং, পোস্টার  দেখা যায়। তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে এ সব হোর্ডিং, পোস্টার দলের পক্ষে লাগানো হয়নি। এইখানেই ধন্দ। তাহলে কোথাও কী আড়াআড়ি  দূরত্ব তৈরি হচ্ছে? একটা বিষয় খুব পরিষ্কার তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কেউ যদি দলে জননেতা হিসেবে স্বীকৃত হন, তাহলে তিনি একবাক‍্যে শুভেন্দু অধিকারী। ফলে সরকারী অনুষ্ঠানে তাঁকে ইদানিং তেমন করে না দেখা গেলেও, তাঁকে ভীষণভাবে মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে। আবার হঠাৎ নন্দীগ্রামে সমাবেশের ব্যানারে দেখা গেল শুভেন্দুর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও। অমিত শাহ্-এর সাম্প্রতিক সফরে অনেক চমক থাকতে পারে এমনটা শোনা গেলেও কিছুই ঘটেনি। ফলে শুভেন্দু অধিকারী ঠিক কোন দিকে ঝুঁকবেন সেটা একমাত্র তিনিই জানেন। তবে এই পর্বে তিনি যে ঘাসফুল দলকে যথেষ্ট চাপে রেখেছেন সেটা পরিষ্কার। আর এইজন‍্যই তৃণমূল দলের অনেকেই আগ বাড়িয়ে তাঁর সম্পর্কে তীর্যক মন্তব্য করছেন। যাতে হিতে  বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Mailing List