শুভেন্দু নীরব, অভিষেক সরব, সবার নাম বলে শুভে‌ন্দুকে কী তাাচ্ছিল্য করলেন, কেন?

শুভেন্দু নীরব, অভিষেক সরব, সবার নাম বলে শুভে‌ন্দুকে কী তাাচ্ছিল্য করলেন, কেন?
29 Nov 2020, 11:45 PM

শুভেন্দু নীরব, অভিষেক সরব, সবার নাম বলে শুভে‌ন্দুকে কী তাাচ্ছিল্য করলেন, কেন?

সুমন ঘোষ

দীর্ঘ সময় পর বেরোলেন অভিষেক। অনেক পরিণত। আক্রমণ করলেন। সে আক্রমণের মধ্যে জোর আছে। কারণ, কাউকে ছাড়েননি। প্রধানমন্ত্রী থেকে অমিত শাহ। হিসেবে যাঁরা বিজেপির সব থেকে বড় নেতা বলে বাংলায় পরিচিত। আর যাঁদের ‌নাম বলেছেন, তাঁরা সবাই বাংলার দায়িত্বে।  শুধু একজনের কথা বলেননি। কিন্তু কেন? অথচ, সব কথা বলেছেন।

সোজা বললে দাঁড়ায়, অমিত শাহ, থেকে পু্রধানমন্ত্রী-কারও নাম বাদ দেননি। সবার প্রিয় সন্তান। তবু সন্তানকে গুন্ডা বলতে দ্বিধা করোননি। পরিবর্তে তাঁকে কেউ কিছুই করতে পারবে না। ভয়েতাঁর নাম দিতে ভয় পান। সে কথা বলতেও ভয় পাননি। চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। শুধু শুভেন্দুর নাম উচ্চারণ করেননি। অর্থাৎ তিনি কি বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু তাঁর কাছে নেতাই নন! নাহলে পাল্টা প্যারাস্যুট, লিফট বলতেন না। এ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই।

আরও কিছু কথা, যা সূর্য ওঠার মতোই সত্য,তা বললেও ভুল হয় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। অসত্য তো নয়। সে ক্ষেত্রে তিনি কিছু সুবিধে পেতেই পারেন। তা নিয়ে কথা বলার পরিবর্তে তাঁর কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী কী অস্বীকার করতে পারবেন, যদি তাঁকে বলা হয় তিনি শিশির অধিকারীর পুত্র। মঞ্চে যতই শিশির বাবুরবাবু বলুন না কেন, শুভেন্দু ভাইয়া বা শুভেন্দুবাবু বলুন না কেন, শিশিরবাবু উপস্থিত রয়েছেন, বাস্তব অস্বীকার করবে কে?

তাই প্রশ্নের শেষ নেই। কারণ, এদিনও কিন্তু সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি কিন্তু কোনও কথা বলেননি। যা বলেছেন, সব অরাজনৈতিক। তাহলে কী এবার অভিষেক প্রমাণ করে দেবে, শুভেন্দুর বিকল্প তিনিই। প্রশ্নটা ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কারণ, তিনি ব্রিগেডে সভা ডাকেননি। সভা ডেকেছিলেন, তাঁর লোকসভা এলাকায়। তিনি কিন্তু খোদ কলকাতায়, নিজের এলাকায় ভোটে দাঁড়াননি। ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী জেলার বাইরে কোথাও গেলেও পুজো উদ্বোধন বা ছোটখাটো অনুষ্ঠানে গিয়েছেন। কোথাও সভা করেননি। সব মেপেই কী অভিষেক, বুঝিয়ে দিলেন। উত্তরটা শুভেন্দুর থেকেই মিলবে বলে সকলেই অপেক্ষায় আছেন।

Mailing List