শুভেন্দু অধিকারী বিপাকে না আবেগে?

শুভেন্দু অধিকারী বিপাকে না আবেগে?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কথার মধ্যে জোর রয়েছে। সে জোর সংবিধান স্বীকৃত। কিন্তু কথা রাখার মধ্যে ফারাক তৈরি হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে বিশ্বাসের। কারণ, শুভেন্দু অধিকারী এক সময় তৃণমূলের বড় নেতা ছিলেন। আর এখন তৃণমূল বহু ক্ষেত্রেই ব্যাকফুটে। তার মধ্যে বড় ইস্যু হল শিক্ষক নিয়োগ।
যে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গোটা প্রাক্তন শিক্ষা দফতর এখন এখন জেলে। তা নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেও। এবং তিনি নাকি দুর্নীতি ধরার কান্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। সেটা কতটা বাস্তব সম্মত, মানুষ কতটা মেনে নিচ্ছেন সে প্রশ্নের উত্তর মানুষই বলতে পারবেন।
আদালত এখন কঠোরভাবে অনেক বিষয়ে পদক্ষেপ করছে। যা সবার কাছে পরিষ্কার। তাই তো রাস্তা ঘাটে চায়ের দোকানে তা নিয়ে দিন আনি দিন খাওয়া মানুষও কথা বলছেন। কিন্তু তার বাইরেও তো কথা থাকে। সরকার ভুল করলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার কথা বিরোধীদের। যে দায়িত্ব পালন করেন বিরোধী দলনেতা।
কে বিরোধী দলনেত হন? কাকে বিরোধী দলনেতা করা হয়? আবার সে দল যদি কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকে? তিনটি প্রশ্নের উত্তর কিন্তু অতি সহজ। এক কথায় উত্তর দিতে হলে, তিনি হবেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বিচক্ষণ ব্যক্তি। আর একটু বাড়ালে দাঁড়ায়, বলবেন কম, শুনবেন বেশি। সেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তিনটি তারিখ উল্লেখ করলেন। সব তারিখই চলতি বছরের শেষ মাসের। ডিসেম্বরের ১২, ১৪ এবং ২১। বড় চোর ধরার তারিখ থেকে অনেক কিছু নাকি ঘটতে পারে।
কিন্তু ঘটলো কী? ১২ ডিসেম্বর লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু। কে এই লালন শেখ? সিবিআইয়ের মতে, লালন শেখ হল বীরভূমের বগটুই গ্রামে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর হল কী? পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু। যেখানে একটা কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে নাকি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তাহলে ২১ ডিসেম্বর হবে কী?
.@SuvenduWB promised us a ‘DECEMBER DHAMAKA’ on the 12th, 14th and 21st.
THIS IS HOW IT WENT:
•12th DEC - Lalan Sk was found DEAD in CBI CUSTODY.
•14th DEC- 3 INNOCENT LIVES WERE LOST in Asansol due to the chaos created by him.
Is something more TRAGIC in store for DEC 21 ?
যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এত কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী, তিনিই তার উত্তর দিয়েছেন। যিনি এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই মেঘালয়ে। রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যেও ক্ষমতা দখলের চেষ্টায় মরিয়া। তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘এর থেকেও কী বড় ঘটা অপেক্ষা করছে।’’ তাহলে প্রশ্ন তো উঠতেই পারে, যিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে, সে গরিমার কথা লাগাতর প্রচার করেন, তাঁর ভবিষ্যৎবাণীর রূপ কেমন এমন?
প্রশ্নের উত্তর কিন্তু জানতে চাইবে মানুষ।


