দুর্গাপূজোয় দু:স্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু সহৃদয় মানুষ!

দুর্গাপূজোয় দু:স্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু সহৃদয় মানুষ!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: দু:স্থ মানুষদের জন্য বিনা পয়সার বাজার মুর্শিদাবাদে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব দুর্গাপুজো। সারা বছর এই পাঁচটা দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকে আপামর বাঙালি। পুজো মানেই খুশি আমেজ পুজো মানেই আনন্দ। পুজোর পাঁচটা দিন নতুন জামা কাপড় পড়ে আনন্দে মেতে ওঠেন কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বৃদ্ধজনেরাও। এই পাঁচটা দিন সমস্ত দুঃখ কষ্ট ভুলে আনন্দে মেতে থাকে আপামর বাঙালি।
সেই কারণেই দুর্গাপূজাকে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উত্সব বলা হয়। তবে এই খুশির দিনে বেশ কিছু দু:স্থ মানুষের দেখা যায় করুন মুখ। তার কারণ খুশির এই উত্সবে নতুন জামা কাপড় পরে পূজা মন্ডপে ঠাকুর দেখার সৌভাগ্য অনেক সময় তাদের হয় না। দুবেলা দুমুঠো অন্য জোগাড় করে পেট ভরানোই তাদের দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে অনেক সময়, সেক্ষেত্রে নতুন জামা কাপড় কেনা তো দুঃস্বপ্নের! সেই সমস্ত দু:স্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এল মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু সহৃদয় মানুষ।
মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের মির্জাপুর, বেলডাঙা, ফরাক্কা বাজার সংলগ্ন এলাকায় তারা তৈরি করলেন বিনা পয়সার বাজার। এখানে দুঃস্থ মানুষদের জন্য তৈরি করা হয়েছে রীতিমতো একটি বাজার। এই বাজারে রয়েছে পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষদের জন্য বিভিন্ন রকম নতুন পোশাক। প্রায় পাঁচ হাজার দু:স্থ মানুষকে পোশাক বিতরণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম ব্লকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মুর্শিদাবাদ বালিয়া প্রেরণা ফাউন্ডেশন।
এদিনের এই পোশাক বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রায় ২২০০ জনকে পোশাক বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। দুঃস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এই সমস্ত পোশাকগুলি তাদের বিতরণ করা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। বাজার হাটের দোকানের মতোই এখানে থাকা সমস্ত পোশাক তারা নিজের পছন্দের মত বেছে নিতে পারবেন তবে তফাত্ এই যে পোশাক কিনতে লাগবে না কোনও পয়সা। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিকিত্সক, শিক্ষিক ও সমাজসেবক ছাড়াও একাধিক বিশিষ্ট নাগরিকেরা।


