আগাছা বেচে নজির কৃষকের! জলাশয়কে আবর্জনামুক্ত রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম তরুণের

আগাছা বেচে নজির কৃষকের! জলাশয়কে আবর্জনামুক্ত রাখতে অক্লান্ত পরিশ্রম তরুণের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: দেশ, সমাজকে বিভিন্ন জায়গা থেকে উন্নত করবার জন্য প্রত্যেকটা নাগরিকের অবদান থাকা উচিৎ অনেকটাই। তবে এক একজন এমনও আছেন যারা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক কাজ করেন।
সম্প্রতি ৩০ মার্চ নিউজ এইট্টিন-এর উদ্যোগে ‘দ্য হিরোজ অফ রাইজিং ইন্ডিয়া’ নামে নানা ক্ষেত্রের স্বমহিমায় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বরা এই অনুষ্ঠান করতে চলেছে। উপস্থিত থাকবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিনিধিরাও। সাধারণ মানুষের অসাধারণ অবদানকেই এই মেগা-ইভেন্টে সম্মান জানানো হবে। এমন ২০ জন নায়ককেই সম্মানিত করা হবে।
তাঁদের মধ্যে এমনই এক জন হলেন হরিয়ানার কাইথাল গ্রামের কৃষক বীরেন্দ্র যাদব। আগাছা পোড়ানোর বিষয়টাকে অভিনব কায়দায় নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি। কীভাবে তিনি কৃষি-শক্তি প্ল্যান্ট এবং কাগজের কলে আগাছা বিক্রি করে মুনাফা লাভ করেছেন জানিয়েছেন ‘মন কি বাত’এ। উত্তর ভারতে প্রতি বছর শীতের সময় কৃষকরা আগাছা পুড়িয়ে থাকেন। যার কারণে বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। সেখানে সেই আগাছাকে এভাবে কাজে লাগানোর জন্য সত্যিই সমাজের কাছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বীরেন্দ্র।
এখানেই শেষ নয়, সম্মানিত নায়কদের তালিকায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার বাসিন্দা বিলাল আহমেদ দার-ও। নিজের কৃতিত্বের জন্য এই তরুণও জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করেছেন। পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে তাঁকে ঘোষণা করেছে শ্রীনগর পুরসভা। এক বছরে উলার হ্রদ থেকে ১২০০০ কেজির বেশি পরিমাণ আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য বছর আঠেরোর এই তরুণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি। কাশ্মীরের বিভিন্ন হ্রদ কিংবা জলজ জায়গাকে আবর্জনামুক্ত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কঠোর পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি তাঁর এরকম উৎসাহ অন্যদের কাছে এক নজির তৈরি করেছে।


