কালিয়াগঞ্জে হলুদ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা

কালিয়াগঞ্জে হলুদ চাষ করে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা
তন্ময় চক্রবর্তী, কালিয়াগঞ্জ
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। আর সেই মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে স্বনির্ভর হওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই। আর এই পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করতে এবার মহিলারা একজোট হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার নতুন পথ নিজেরাই খুঁজে নিয়েছেন হলুদ চাষের মধ্য দিয়ে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এর জলঙ্গি গ্রামের মহিলারা এখন দুটো পয়সা লাভের মুখ দেখছেন হলুদ চাষ করে। গ্রামের ১০-১২ জন মহিলারা মিলে গ্রামের জমিতে হলুদের চারা বপন করে হলুদ চাষ করছেন। শুধু তাই নয়, এই হলুদ তাঁরা নিজেদের জমির থেকে তুলে নিয়ে এসে হাঁড়ির মধ্যে সিদ্ধ করে শুকিয়ে তারপর বিভিন্ন হাটে- বাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করছেন। আর এর ফলে দুটো লাভের মুখ দেখতে পারছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা জানান, একটা সময় তাদের সংসার খুবই কষ্টের মধ্যে চালাতে হত। স্বামীর একার রোজগারের উপর তাদের তাকিয়ে থাকতে হতো। সব সময় তাদের হাত পাততে হতো স্বামীর কাছে। কিন্তু আজ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই বদলে গিয়েছে।
বর্তমান সমাজ পরিস্থিতির উপর দাঁড়িয়ে তাঁরাও অনুভব করতে লাগলো তাদেরকেও কিছু করতে হবে। আর এই অনুভবকে সামনে রেখে গ্রামের মহিলারা ঠিক করলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী দল গড়ে একজোট হয়ে চাষাবাদ শুরু করবেন। আর সেই থেকে পথচলা শুরু হলো মহিলাদের। আজ গ্রামে তাঁরা একজোট হয়ে শুরু করেছে হলুদ চাষ। যার চাহিদা সবসময়ই অর্থাৎ সারা বছর রয়েছে। কারণ, এ তো প্রতিটি রান্নাতেই কাজে লাগে। এছাড়াও কাজে লাগে প্রসাধনেও। ভেষজ হিসেবেও কাজ দেয় হলুদ।
মহিলারা জানান, যেহেতু তাঁরা নিজেরাই হাটে বিক্রিও করেন ফলে মাঝপথে ফোঁড়েরা লাভের গুড় মারতে পারে না। এভাবেই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে হলুদ চাষে।


