সায়েন্টিফিক্যালি চুরি করেছে সিপিএম, কটাক্ষ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের

সায়েন্টিফিক্যালি চুরি করেছে সিপিএম, কটাক্ষ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ‘আমাদের দলের নেতারা হাত পেতে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু সিপিএম চুরি করেছে সায়েন্টিফিক্যালি’। সিপিএমের দুর্নীতি নিয়ে বলতে গিয়ে এবার বেফাঁস রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। গরুপাচার, কয়লাপাচার, এসএসসি, টেট-এর মতো একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে বেসামাল রাজ্যের শাসক দল। প্যাঁচে পড়ে এবার পালটা বাম আমলের দুর্নীতিকে নিশানা করছেন তৃণমূল নেতারা। এভাবে নিজেদের দুর্নীত ঢাকতে গিয়ে এবার বেফাঁস রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে এক দলীয় সভা থেকেই এই বেফাঁস মন্তব্য করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, আমাদের লোকগুলো হাত পেতে টাকা নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু বামেরাও দুর্নীতি করেছে। চাকরি ওরাও দিয়েছে। তবে সেটা খুবই সাইন্টিফিক্যালি করেছে। কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার নিজেদের লোক ঢুকিয়েছে। তার বদলে মাসে মাসে পার্টি অফিসে কমিশন নিত। ওরা সবাই টেকনিক্যাল চোর। তবে সিপিএমের চুরি নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি যেভাবে নিজেদের পার্টির লোকেদের টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তাতে অবাক তাঁর নিজের দলের নেতা-কর্মীরাই। তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। শোভনদেবের নিন্দায় সরব হয়েছে বামেরা।
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ই অবশ্য প্রথম নন, আরও অনেক তৃণমূল নেতা বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন। উদয়ন গুহ, তাপস চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতারা যাঁরা এক সময়ে সিপিএমে ছিলেন তাঁরাও দাবি করেছেন, তাঁরাও সিপিএমের নিয়োগ দুর্নীতির সাক্ষী। একদা সিপিএম নেতা সমীর পুততুন্ডও একই অভিযোগ তুলেছিলেন। এসবে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ বামেরা। বাম আমলের দুর্নীতি নিয়ে বারবার শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্যজুড়ে এখন চর্চায় নিয়োগ দুর্নীতি। এই কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী-সহ একাধিক শীর্ষ আধিকারিক। এই আবহে বাম আমলের দুর্নীতিকে ঢাল করে বাঁচার চেষ্টা করছে তৃণমূল।


