বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তন্ত্র, নরবলি

বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, তন্ত্র, নরবলি
ড. গৌতম সরকার
একদিকে সভ্যতার ধ্বজাধারী আধুনিক প্রজন্ম মানবিক, সামাজিক সম্পর্কগুলোকে তুড়ি মেরে প্রযুক্তির ভেলায় ভেসে যান্ত্রিক আত্মসর্বস্ব জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে সমাজের বেশ কিছু মানুষ তন্ত্রমন্ত্র, ঝাড়ফুঁক, কালো জাদুর ছোঁয়ায় আরেক জগতের তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে; একদিকে মানুষ চাঁদ ছেড়ে মঙ্গলগ্রহে জমি কিনতে উঠে পড়ে লেগেছে, অন্যদিকে সেই মানুষই লালসা চরিতার্থ করতে, প্রতিপক্ষকে নিকেশ করতে, আত্মীয়-পড়শীর অমঙ্গল কামনায় প্রেতসিদ্ধদের কাছে ছুটছে যারা নাকি ব্ল্যাক ম্যাজিকের জাদুকাঠিতে 'হয়কে নয় নয়কে হয়' করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে; একদিকে দেশে-দেশের জিডিপি বাড়ছে, মানুষ শিক্ষিত হচ্ছে, নাগরিক প্রসার ঘটছে, জাতীয়-আন্তর্জাতিক সেমিনার-কনফারেন্সে সামাজিক অবক্ষয়, জাতিভেদ, ধর্মভেদ নিয়ে গলাফাটানো চলছে, অন্যদিকে এখনও ঘুম চোখে খবরের কাগজের প্রথম পাতায় চোখে পড়ে নরবলির মত ভয়ানক এবং কলঙ্কজনক খবর। ভাবতে লজ্জা হয় এই একবিংশ শতাব্দীতে পৌছেও নরবলি-শিশুবলির মত ঘটনা ভারতবর্ষের বিভিন্নপ্রান্তে ঘটে চলেছে, অবশিষ্ট বিশ্বই কি এই ব্যাপারে নিজেকে কলঙ্কহীন দাবি করতে পারবে! স্বভাবতই যে প্রশ্ন ওঠে আসছে সেটি হল, তাহলে কী প্রগতির বিষয়টি পুরোটাই ভাঁওতা, আমরা আসলে পিছনের দিকে এগিয়ে চলেছি!
সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি ঘটনা মানুষের সার্বিক চেতনায় তীব্র নাড়া দিয়েছে। খবরে প্রকাশ ২০২২ সালের জুন এবং সেপ্টেম্বর মাসে কেরালার এর্নাকুলামে দুই মহিলা রোজেলিন এবং পদ্মা পরপর নিখোঁজ হন। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে এক নারকীয় সত্য। পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক এক দম্পতি ভগবল সিং এবং লায়লা সিং ইড্ডুকি জেলার অতিপ্রাকৃত শক্তির চর্চাকারী মোহাম্মদ রশিদ ওরফে শফির নির্দেশে ওই দুই মহিলাকে বলি দিয়েছেন। এখানেও সেই দারিদ্র্যকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর্থিক দুর্গতি থেকে মুক্তি পেতে সিং দম্পতি শফির শরণাপন্ন হন। অঘোরি বিদ্যার কারবারি শফি লটারির টিকিট বিক্রয়কারী দুই গরিব মহিলাকে টার্গেট করেন। অনেক টাকার লোভ দেখিয়ে এক এক করে দুজনকে সিদ্ধির জায়গায় নিয়ে আসে। তারপর তাদের বলি দিয়ে নরমাংসে ভোজ সমাধা করে বড়লোক হওয়ার সহজ উপায়টি সমাধা করে।
কেরলের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে সংবাদপত্র দখল নেয় আরেকটি নারকীয় ঘটনা- এবার খোদ পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার চাঁচলে নয় বছরের একটি বালিকার গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। যদিও পুলিশের হাতে একশো শতাংশ নরবলির প্রমাণ নেই, কিন্তু স্থানীয় যে যুবককে সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, খবরে প্রকাশ সে এবং তার বাবা প্রেতচর্চা করত। তাদের বাড়িতে সাধনার বেদিও খুঁজে পাওয়া গেছে। এটি গত বছরের অক্টোবর মাসের ঘটনা।
২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর 'দ্য ওয়াল' পত্রিকায় একটি খবর অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায়নি। খবরটা হল এইরকম- তামিলনাড়ুর তিরুবন্নামালাই জেলার আরণী গ্রামের লোকেরা পুলিশকে খবর দেয়, তাদের গ্রামের একটি বাড়ির ছয়জন সদস্য বিগত তিনদিন যাবৎ ঘরের বাইরে বেরোচ্ছে না। পুলিশ তদন্তে গিয়ে দেখে দুই মহিলাসহ পরিবারের ছয়জন সদস্য সারাগায়ে সিঁদুর আর হলুদ মেখে বসে আসে। সামনে প্রস্তুত হাঁড়ি কাঠ। পুলিশের জেরাতে তারা জানায়, বাড়ির এক মহিলাকে প্রেতাত্মা ভর করেছে, সেই আত্মাকে ছাড়াতেই নাকি পূজার আয়োজন। পুলিশের বয়ান, তারা যখন বাড়ির মধ্যে ঢোকে তখন গোটা আবহটি ছিল এমন যেন যেকোনও মুহূর্তেই নরবলি সংঘটিত হবে। গ্রামবাসী ও পুলিশের তৎপরতায় হয়তো কোনও একজনের প্রাণ বেঁচেছিল।
পরের ঘটনাটি ঘটেছিল মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদে। ওই জেলার বলরাজ এলাকার সমতা কলোনিতে দুই মেয়েকে নিয়ে একটি দোতলা বাড়ির নিচের তলায় দুটি ঘর নিয়ে ভাড়া থাকতেন কাকাসাহেব নামদেব ভুইগাড ও তাঁর স্ত্রী। হঠাৎ করে একদিন বাড়িওয়ালাকে না জানিয়ে ঘরে চাবি লাগিয়ে সপরিবারে বেপাত্তা হন ভুইগাড। বাড়ির মালিক সূর্যকান্ত শেলকে বহুবার ফোনে যোগাযোগ করতে অপারগ হয়ে অবশেষে তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। তারপরের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে প্রৌঢ় ভদ্রলোক ভয়ে কেঁপে কেঁপে উঠছেন। দরজা খুলে দেখেন, রান্নাঘরের সিঙ্কের নিচে গ্যাস সিলিন্ডার রাখার প্রকোষ্ঠে এক বাইশ বছরের মেয়ের দেহ প্রচুর পরিমানে লবন ও পাতিলেবু সহকারে কবর দেওয়া হয়েছে। সৃর্যকান্তবাবু সনাক্ত করেন এটি ওই পরিবারের বড় মেয়ের দেহ৷ পুলিশের অনুমান লবন ও লেবুর ব্যবহার করা হয়েছিল যাতে চট করে মৃতদেহ নষ্ট না হয়ে বাইরে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে কাকাসাহেব এবং তাঁর স্ত্রী তন্ত্রচর্চা করতেন।
তাহলে তন্ত্র সাধকেরা এখনও আছেন! সভ্যতার অগ্রগমনের সাথে নরবলির বিলুপ্তি ঘটেছে বলে যে আশ্বাস বাক্য শোনানো হয় সেটাও সর্বতোভাবে সত্য নয়! পরের পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে যাচ্ছে, সংবাদপত্রের শিরোনামে, 'শ্বাশুড়ির মাথা কেটে রক্ত পান করলো জামাই,' 'তন্ত্র সাধনার জন্য স্বামীর বুকে বসে রক্ত পান', ‘ভালো ফলনের জন্য ১২ বছরের ভাইপোকে বলি দিল কাকা', তন্ত্রসাধনায় হাত পাকাতেই যুবতীকে বলি', ইত্যাদি জাতীয় খবরগুলিকে 'ব্যাড রিপোর্টিং' বা 'ফলস রিপোর্টিং' বলে উড়িয়ে দিতে পারিনা।
অস্বীকার করতে পারিনা তার প্রধান কারণ হল 'নরবলি প্রথা' গোটা বিশ্বে, বিশেষ করে ভারতের মত অনুন্নত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন দেশগুলিতে যুগ যুগ ধরে চলে এসেছে। ইতিহাস বলছে, তামাম বিশ্বকে বিভিন্ন সময়ে যে সমস্ত ঘটনা মনুষ্যত্বের পাল্লায় কলঙ্কিত করেছে তার মধ্যে প্রধানতম হল 'নরবলি'। খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকে শুরু করে এই একবিংশ শতাব্দীতেও ঘটে চলেছে একের পর এক নরবলির ঘটনা। এখানে কয়েকটি উদাহরণ আনলে বিষয়টি প্রণিধানযোগ্য হয়।
এক, কার্থেজ: বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং সম্বৃদ্ধিশালী হওয়া সত্ত্বেও কার্থেজ সভ্যতার কিছু আচার-নীতি ইতিহাসে বর্বরোচিত বলে পরিগণিত হয়। তার মধ্যে প্রধান হল 'শিশু বলি'। স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট রাখতে তাঁরা শিশুবলি দিতেন, এমনকি ধনী ব্যক্তিরা সম্পত্তির সুরক্ষার জন্য নিজেদের সন্তানকে দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করতেন। হিসেব বলছে, ৮০০ থেকে ১৪৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের মধ্যে আনুমানিক ২০০০০ শিশুকে কার্থেজের মানুষ বলি দিয়েছিলেন।
দুই, ইসরায়েল: এই দেশে শিশুদের পুড়িয়ে বলিদানের কাজটি সারা হতো। এক গুপ্ত সংঘের সদস্যরা তাদের ইষ্টদেবতা 'মলোখ'কে তুষ্ট করতে এই নারকীয় পন্থা অবলম্বন করতো।
তিন, এট্রুস্কান সভ্যতা: প্রাচীন ইতালির এক ক্ষমতাশালী ও সম্পদশালী সভ্যতার নাম হল এট্রুস্কান। কৃষিকাজ ও বাণিজ্য ছিল তাদের প্রধান উপজীবিকা৷ খনিজ সম্পদেও বেশ সমৃদ্ধিশালী ছিল এই সভ্যতা। কার্থেজ এবং গ্রিসের সাথে বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক ছিল। এইরকম এক প্রগতিশীল দেশেও 'নরবলি'র মত ইতর প্রথা চালু ছিল।
চার, চিন: নরবলি'র ঘটনা চিন দেশে দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। তবে ব্যাপারটির ব্যাপক প্রসার ঘটে শ্যাং রাজবংশের আমলে। ইতিহাস বলছে মূলত দুটি কারণে এখানে নরবলি দেওয়া হতো- এক, স্রষ্টার মনোরঞ্জন; আর দুই, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে খতম।
পাঁচ, হাওয়াই: এখানকার অধিবাসীদের বিশ্বাস ছিল, নরবলি দেওয়ার মাধ্যমে তারা যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষার দেবতা 'কু'-এর আশীর্বাদ লাভ করতে পারবে। এই আশায় মন্দিরে মন্দিরে চলত 'নরবলি', যে প্রথাটি স্থানীয় সমাজে 'হেইয়ার্ড' নামে পরিচিত ছিল।
ছয়, মেসোপটেমিয়া: এখানকার রাজন্যবর্গ, তাদের পরিবারের লোকজন, উচ্চপদস্থ সভাসদগণের মৃত্যু হলে তাঁদের সাথে খাস চাকরদের জীবন্ত সমাধি দেওয়া হত। বিশ্বাস ছিল, এর ফলে পরজন্মেও এই চাকরেরা মনিবের সেবা করতে পারবে। একই প্রথা মিশরে ফারাওদের মৃত্যুর পর অনুসরণ করা হতো।
সাত, অ্যাজটেক: নরবলির ক্ষেত্রে অ্যাজটেকদের দর্শন ছিল অদ্ভুত। তাঁরা বিশ্বাস করতেন নরবলি সূর্যকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করে। তাই নরবলিকে তাঁরা মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখার মহান মাধ্যম বলে মনে করতেন।
আট, ইনকা সভ্যতা: ইনকা সাম্রাজ্য প্রায়শই আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ভূমিকম্প, বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ত। সেই সাম্রাজ্যের অধিবাসীরা মনে করতেন একমাত্র নরবলির মাধ্যমেই প্রকৃতির কোপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। বসুন্ধরাকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রাণ হারাতে হত হাজার হাজার ইনকা শিশুদের।
নয়, ফিজি: ফিজিতে স্বামীর মৃত্যুর পর সাথে স্ত্রীকে জ্যান্ত কবর দেওয়া হত। সেখানকার নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর মানুষরা বিশ্বাস করতেন, স্ত্রীর কর্তব্য হল পরকালেও স্বামীকে সঙ্গ দেওয়া।
ভারতবর্ষে সতীদাহ প্রথা তো এই সেদিনকার ঘটনা। শুধু সতীদাহ প্রথা কেন, নরবলি বিভিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলেছে, ইতিহাস থেকে শুরু করে সাহিত্যে সেসবের উজ্জ্বল প্রমাণের অভাব নেই।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের 'কপালকুন্ডলা' উপন্যাসে নবকুমারকে দেবীর সামনে বলি দেওয়ার নারকীয় উল্লাস সম্পূর্ণ হয়না কপালকুন্ডলা সময়মতো খড়্গ সরিয়ে ফেলায়। আবার অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সম্পত্তি সমর্পণ' গল্পে যজ্ঞনাথ কুন্ডুর বালক নিতাইকে সম্পত্তি রক্ষার কারণে জীবন্ত মাটি চাপা দেওয়াটা নরবলির চেয়ে কিছু কম কী?
গতবছর কেরলের পাথানমথিতা জেলায় এক 'তন্ত্র সাধিকার' সন্ধান মেলে, যাঁর বিরুদ্ধে শিশুবলির কোনও প্রমাণ নেই, কিন্তু সিদ্ধির প্রশ্নে শিশুকে ব্যবহার করার যথেষ্ট প্রমান মিলেছে। তাহলে কি এটাই সত্যি, আমরা শত-সহস্র বৎসর আগে যে তিমিরে ছিলাম, আজও সেই তিমিরেই আছি! কারণ হিসেবে যে প্রশ্নগুলো স্বাভাবিক ভাবে চলে আসে- কেরালার মত সাক্ষরতায় এগিয়ে থাকা রাজ্যে এধরণের ঘটনা কিভাবে ঘটে চলেছে? এতদিন জানা ছিল, পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চ জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞান সচেতনতা বাড়ানোর প্রশ্নে সারা দেশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। সেই পশ্চিমবঙ্গের বুকে ২০২২ সালে নরবলির মতো ঘটনা ঘটছে কেন? তাহলে কি সব চেষ্টাই পক্ষান্তরে 'অরণ্যে রোদন' হয়ে পড়েছে! সমাজবিজ্ঞানীর অভিযোগ, ভারতীয় সংবিধানে বিজ্ঞান মনস্কতাকে উৎসাহ দেওয়ার কথা বলা থাকলেও সমাজের একটি অংশ নিরন্তর অপবিজ্ঞান ও কুসংস্কার কে মদত দিয়ে চলেছে৷
আধুনিকতা আর প্রযুক্তির ব্যবহার মানেই কুসংস্কার আর গুপ্তহত্যার নারকীয় অভ্যাস থেকে মুক্তি নয়। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও কিছু গোঁড়া তান্ত্রিক এবং অঘোরী গুপ্তভাবে নরবলি দিয়ে থাকে। তন্ত্র শাস্ত্র এবং অঘোরীমার্গের অনেক পরিচ্ছদেই 'নরবলি'র কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। তাই আমরা অস্বীকার করলেও কুসংস্কার পোষণ বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বা ভাবনার আধুনিকতার পরোয়া করে না। কুসংস্কার হল কতকটা পরিজীবী ভাইরাসের মত, একবার ধরলে আষ্টে পিষ্টে গোটা সিস্টেমকে জীর্ণ করে তোলে। যতই আধুনিকতার ধ্বজা উড়িয়ে মানুষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বড়াই করুক না কেন, সমাজের বুক থেকে কুসংস্কার যে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হয়নি উপরের ঘটনাগুলি তারই প্রমাণ। উন্নয়ণের একটা বিরুদ্ধ স্রোত সবসময়ই থাকে, আমরা একটা 'কমফোর্ট জোনে' থাকতে ভালোবাসি বলে জেনেশুনে না দেখার ভান করি। নিউটনের তৃতীয় সূত্রানুযায়ী উত্তরণের বিপরীতে একটি অবক্ষয় সদাসক্রিয় বিদ্যমান, তাই প্রগতির প্রশ্নে সক্রিয় সংগ্রাম কখনোই থেমে থাকার নয়।
লেখক: অর্থনীতির সহযোগী অধ্যাপক
তথ্যঋণ: ইন্টারনেট


