করোনাতে খেলতে নেমে খেই হারালেন সচিন?

করোনাতে খেলতে নেমে খেই হারালেন সচিন?
তাহলে কী এবার গোললাইন সেভ? রাজস্থানে পাইলটহীন সরকার যখন অনেকটাই ক্র্যাশ ল্যাণ্ডিং-এর পথে, ঠিক তখনই পাইলট স্বয়ং পরিস্থিতি সামলে নিলেন। যেভাবে জলবৎ তরলং করে ভূমিকা লেখা হলো, বিষয়টি কী ততোটাই সরল সাদাসিধে? মোটেই না, বরং বলা যেতে পারে, এখানে মধ্যপ্রদেশ মডেল অনুসরণ করতে গিয়ে পাইলটের নোজ ল্যাণ্ডিং হলো। আজ থেকে ৩/৪ মাস আগে করোনার প্রকোপ মাথা চাড়া দেওয়ার মুহূর্তে প্রয়াত সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা মাধবরাও সিন্ধিয়া তনয় জ্যোতিরাদিত্য-সহ তাঁর পছন্দের বিধায়কদের নিয়ে বিজেপি-তে নাম লেখান। গদিচ্যুত হতে হয় কমলনাথ নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে। দলে গুরুত্ব না পাওয়াকে দায়ী করে যেভাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া দল বদলান, ঠিক সেই পথ ধরেই শচীন পাইলট এগিয়ে গিয়েও দর কষাকষিতে কার্যতঃ হারলেন। খোয়াতে হয়েছে উপ মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতির পদ। কিন্তু এটা যদি নাটকের প্রাথমিক পর্ব হয় তাহলে এর অন্তরালে আরও একবার বাসা বেঁধেছে ক্ষমতা সর্বস্ব রাজনীতির পঙ্কিল রেসিপি। অশোক গেহলট সরকার প্রাণপন লড়াই চালাচ্ছে সমর্থনের ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ ১০১ ফিগার কে সঙ্গে রাখতে। সারা বিশ্বে তো বটেই ভারতে কোভিড-১৯ এক চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিদিন রেকর্ড আক্রান্ত, মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। কিন্তু তার মধ্যেও রাজনীতির ঘোলাজলে মাছ ধরতে তৎপর বিজেপি। বিজেপি-র লক্ষ্য যেন সেই বিরোধীশূন্য ভারতবর্ষ। রাজ্যে বিজেপি বারবার প্রতিবাদের ঝড় তুলছে শাসক দলের একতরফা বিরোধীশূন্য রাজনীতির বিরুদ্ধে। তখন বিজেপি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিরোধী কন্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে যে তৎপর তা ফের একবার প্রমাণিত। কেন্দ্রের মসনদে বসেও কেন এমন সর্বগ্রাসী রাজনীতি? ভারতের ১২টি রাজ্যে পূর্ণ ক্ষমতা এবং ৫টি রাজ্যে শরীকি ক্ষমতা। কিন্তু ক্ষমতার অলিন্দকে আরও চওড়া করতে গেরুয়া শিবিরে যেন ঘুম নেই। এ সেই বিখ্যাত গানের কলি, কতোটা পথ পেরলে তবে পথিকের বদলে ক্ষমতা পাওয়া যায় বলাটাই বোধ হয় শ্রেয়।
কতোটা পথ পেরলে.....


