নারী সুরক্ষা প্রদান ও শিশুশ্রম বন্ধে সচেতনতা জাগাতে হেঁটে লাদাখ যাচ্ছেন আরামবাগের রেস্তোরাঁ শ্রমিক

নারী সুরক্ষা প্রদান ও শিশুশ্রম বন্ধে সচেতনতা জাগাতে হেঁটে লাদাখ যাচ্ছেন আরামবাগের রেস্তোরাঁ শ্রমিক
27 Nov 2022, 10:25 AM

নারী সুরক্ষা প্রদান ও শিশুশ্রম বন্ধে সচেতনতা জাগাতে হেঁটে লাদাখ যাচ্ছেন আরামবাগের রেস্তোরাঁ শ্রমিক

 

প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়, আরামবাগ

 

লক্ষ, নারী সুরক্ষা প্রদান ও শিশুশ্রম বন্ধের  বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। সেই লক্ষ্য পরণের জন্য হুগলির আরামবাগ থেকে সুদূর লাদাখের উদ্দেশ্যে হেঁটে চলেছে বাংলার যুবক প্রদীপ মণ্ডল। শনিবার বিকালে পূর্ব বর্ধমানের রায়নার মিরেপোতায় পৌছে যুবক প্রদীপ জানান, শীতে কষ্ট যাইহোক আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে লাদাখ পর্যন্ত তিনি যাবেনই। নিম্নবিত্ত পরিবারের সাধারণ একজন রেস্তোরাঁ কর্মী যুবকের এমন জেদ ও প্রয়াসের তারিফ নাকরে পারেননি নেটিজেনরা।

কোন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ মোটর বাইকে  নয়তো  সাইকেলে চেপে দেশ ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন। তাঁদের কেউ পরিবেশ সচেতনতা বা বৃক্ষরোপনের প্রয়োজনীয়তার বার্তা দিয়ে চলেছেন এমন খবর মাঝেমধ্যেই পাওয়া যায়। কিন্তু যুবক প্রদীপ মণ্ডলের হেঁটে লাদাখ পৌছানোর উদ্দেশ্যটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী।

আরামবাগের বাসিন্দা প্রদীপ সেখানকার নতুন  বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি রেস্তোরাঁতে ওয়েটারের কাজ করেন। শুক্রবার তিনি একা তাঁদের আসনপুরের বাড়ি থেকে রওনা দেন লাদাখের উদ্দেশ্যে।ওইদিন রাতটা নিরাপদ জায়গায় কাটিয়ে প্রদীপ শনিবার সকাল থেকে ফের পাঁয়ে হেঁটে রওনা দেয়। বিকালে সে পৌছায় পাশের জেলা রায়নার মিরেপোতায়। কোন ক্লান্তির ছাপ তাঁর চোখে মুখে দেখা যায়নি ।লাদাখ পৌছানোর ব্যাপারে সে যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সেটা তার কথাতেই এদিন ধরা পড়ে। 

সংবাদমাধ্যম কে প্রদীপ মণ্ডল এদিন জানান, “দেশ স্বাধীন হবার পর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে ৭৫ টা বছর। তবুও এখনও দেশের নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রদীপের মতে দেশে পুরুষরা যেভাবে সুরক্ষিত, সেভাবে মহিলারা কিন্তু সুরক্ষিত নন। দিনের বেলা সমস্যা খুব বিশেষ না হলেও রাত্রিবেলা একা পথে বেরোতে গেলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মহিলাদের।সাধারণ মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। এছাড়াও টাকা রোজগারের আশায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট ছোট শিশুদেরকে শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে শিশুদের ছেলেবেলা। তাই সেই ছোট ছোট শিশুগুলোর ছেলেবেলাটা যাতে নষ্ট হয়ে না যায়, তারা যেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুখী হয়ে উঠতে পারে তারই বার্তা তিনি সুদূর লাদাখ পর্যন্ত ছড়িয়ে দিতে চান।

সেই লক্ষেই তিনি আরামবাগ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে লাদাখ পৌছাতে চান“। প্রদীপ জানান,’ ৯০ দিনের মধ্যে তিনি লাদাখ পৌঁছাতে চান। তার জন্য এবং নিজের সুরক্ষার জন্য তিনি পুলিশ এবং প্রশাসনের থেকে অনুমতিও নিয়েছেন বলে জানান’।

Mailing List