আম আদমির কান্নায় আগুন নেভেনি, চুপ কেজরিও!

আম আদমির কান্নায় আগুন নেভেনি, চুপ কেজরিও!
একদিকে আতঙ্ক। জ্যান্ত আগুনে পুড়ে মরতে হবে। নয়তো গুলি বা লাঠির ঘায়ে। না, একা নয়, স্ত্রী পুত্র পরিবার সহ। একদিকে এই কান্না, অন্যদিকে আতঙ্কের উল্লাস। একের পর এক গাড়ি জ্বলছে, বাড়ি জ্বলছে, প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি চলছে!
না, কোনও সাধারণ জায়গায় নয়, এটা ভারতের রাজধানী দিল্লি।
নীরব কেজরিওয়াল, নীরব অমিত শাহ, নীরব মোদি!
ঘটনাটি ঠিক কখন ঘটল? দিল্লির নির্বাচন শেষ। নতুনভাবে আবার ক্ষমতায় আপ সরকার। ঠিক তারপরেই। আবার এই সময়েই ভারত সফরে এসে হাসি মুখে নেচে গেয়ে কাটালেন বিশ্বের সর্ব বৃহৎ মানুষটি। যাঁর নাম ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী অদ্ভুত এক সময়, যার মধ্যে দেশের রাজধানীর প্রকাশ্য রাজপথ দখলে গেল কিছু উচ্ছৃঙ্খল মানুষের, পুলিশ শুধুই দাঁড়িয়ে দেখল! অভিযোগ, উঠল পুলিশও নাকি সাহায্য করেছে!
তাই কী নীরব কেজরি, অমিত, মোদি-রা। ভোটের সভা সমাবেশের অমিত বিক্রম উধাও। ঝাঁটা হাতে তাণ্ডব সাফ করার দৃশ্যই বা দেখা গেলো কৈ। শুধু সেনা চেয়ে দায়িত্ব সারা ছাড়া।
দেশের রাজধানী। দেশের রাজধানীতেই রয়েছে দেশের হৃৎপিণ্ড অর্থাৎ সংসদ ভবন। দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদরা বেশিরভাগ সময় দিল্লিতেই থাকেন। সমস্ত বিরোধী দলের নেতা, সনিয়া গাঁধী থেকে রাহুল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, প্রকাশ কারাত, সীতারাম ইয়েচুরি - কে নেই। রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতিদেরও বাস এখানেই। নিয়ম অনুযায়ী, দিল্লির বাতাসের গতিবিধিও নখদর্পণে থাকার কথা পুলিশের। তবুও এত বড় ঘটনা!
অবশ্য দিল্লির বাতাস যে অনেক আগেই দূষণে ছেয়েছে তা ভুললে চলবে কী করে।
এর পর আম আদমি, শুধু দিল্লি নয়, সারা দেশের, কার ভরসায় দিন কাটাবেন? দিল্লির দূষিত বাতাসে সে উত্তরের এখনও কোনও ইঙ্গিত নেই।


