পক্ষাঘাতে বিকল শরীর, মাথায় চিপ বসানোর পর হাঁটলেন তিনিই!

পক্ষাঘাতে বিকল শরীর, মাথায় চিপ বসানোর পর হাঁটলেন তিনিই!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ নেদারল্যান্ডসের জার্ট জান ঘুরতে বেরিয়েছিলেন শখের সাইকেল নিয়ে। অন্য দিনের সঙ্গে সেদিনের বিশেষ পার্থক্য ছিল না। কিন্তু শেষটা এক রকম হল না। সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে সেদিন মেরুদণ্ডে পেলেন চোট। সেই চোট কোনও দিনই সারেনি। যার ফলে ধীরে ধীরে হাঁটাচলার শক্তিটাই হারিয়ে ফেলেন তিনি। জার্টের বয়স এখন ৪০ বছর। আর এই বয়সে এসে তিনি ফিরে পেলেন তাঁরা স্বাভাবিক হাটাঁচলার ক্ষমতা। অসাধ্যসাধন হল বিজ্ঞানের কারণে। পক্ষাঘাত সংক্রান্ত সমস্যার পাকাপাকি সমাধানও হলো প্রায়। এমনই মনে করছেন অনেকে।
জার্টের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে বিশেষ ধরনের চিপ। আর সেই চিপই তাঁকে আবার হাঁটার শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন শুধুমাত্র হাঁটার কথা ভেবেই, তিনি হাঁটতে পারছেন। তার জন্য অতিরিক্ত কিছু করতে হচ্ছে না।
বিজ্ঞানীরা এই চিপকে বলছেন, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডের মাঝে অবস্থিত সেতু। চোটের কারণে জার্টের ক্ষেত্রে এই সেতুটিই ভেঙে গিয়েছিল। তাই হাঁটার কথা ভাবলেও, তাঁর মেরুদণ্ড সেই হাঁটার অনুভূতি পৌঁছে দিতে পারছিল না পা দু’টিকে। সেই কাজটিই করেছে এই চিপ।
তিনি এখন হাঁটতে পারছেন, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে পারছেন, এবং কারও কোনও সাহায্য ছাড়াই পাবে গিয়ে বন্ধুদের পান করা আর আড্ডা দেওয়ার মতো রোজকার কাজও করতে পারছেন। সব মিলিয়ে এক প্রকার স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকেই এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। তিনি ছাড়া আর কাউকে নিয়ে এই ধরনের পরীক্ষা এখনও করা হয়নি। আর সেটি হলে বোঝা যাবে এর সাফল্যের হার। তবে তাঁরা আশাবাদী, এক জনের ক্ষেত্রে যখন এটি কাজে লেগেছে, আরও অনেকের ক্ষেত্রেই তা লাগবে।


