হাতে মাত্র ২৭ বছর! তারপর মিলবে না খাদ্য!

হাতে মাত্র ২৭ বছর! তারপর মিলবে না খাদ্য!
02 May 2022, 11:15 PM

হাতে মাত্র ২৭ বছর! তারপর মিলবে না খাদ্য!

 

হাতে আর মাত্র ২৭ বছর। ঘনিয়ে আসছে চরম দূর্দশা। শেষ হয়ে আসছে বিশ্বের খাদ্য ভান্ডার।

দুবেলা খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হবে মানুষকে। ঘাম ঝরিয়ে নিজের এবং পরিবারের জন্য দু'বেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে হয়। কিন্তু আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে শেষ হতে চলেছে পৃথিবীর খাদ্য ভাণ্ডার। হাতে টাকা থাকলেও আর মিলবে না দুবেলার খাবার। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্ট’-এর এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গোটা বিশ্বে এমন খাদ্য সংকট দেখা দিতে চলেছে যে ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্যশস্য শেষ হয়ে যাবে। তাদের কাউন্টডাউন অনুযায়ী, পৃথিবী থেকে শস্য শেষ হতে আর মাত্র সাতাশ বছর বাকি। সংস্থাটি জানিয়েছে, হিসেব অনুযায়ী ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা এক হাজার কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এমন পরিস্থিতিতে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০৫০ সালে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে প্রায় ৭০ শতাংশ।

সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, পৃথিবী প্রতি বছর ৭৫০০ মিলিয়ন টন উর্বর অর্থাৎ চাষযোগ্য জমি হারাচ্ছে। গত ৪০ বছরে বিশ্বের মোট জমির এক-তৃতীয়াংশ কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দুনিয়ায় খাদ্যের চাহিদা এতটাই বেড়েছে যে আগামী ৪০ বছরে পৃথিবীর মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটাতে এত বেশি শস্য উৎপাদন করতে হবে যা গত ৮ হাজার বছরে হয়নি। অর্থাৎ একদিকে বিশ্বে উর্বর ভূমি প্রতি বছরই কমছে, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনসংখ্যা। দ্য ওয়ার্ল্ড কাউন্টের সমীক্ষা অনুসারে, শস্য ফুরিয়ে গেলে মাংস খাওয়ার বিকল্প নেই। তবে মাংস তৈরি করতে অনেক বেশি শক্তির প্রয়োজন। ফলে তা উৎপাদন করা প্রায় অসম্ভব।

তাদের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০৩০ সাল নাগাদ চালের দাম বর্তমানের তুলনায় ১৩০ শতাংশ এবং ভুট্টার দাম প্রায় ১৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, ভবিষ্যতে এক বা একাধিক দেশের মধ্যে খাদ্য ও পানীয় জল নিয়েও যুদ্ধ হতে পারে। সমীক্ষায় এমনও দাবি করা হয়েছে, বর্তমানে মানুষ যেভাবে নিজেদের প্রয়োজনে পৃথিবীর সম্পদ ব্যবহার করছে, তাতে ২০৩০ সালের পর প্রতিটি মানুষের খাদ্য ও পানীয়ের চাহিদা পূরণ করতে হলে আরও একটি পৃথিবীর প্রয়োজন।

Mailing List