মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতেই রয়েছে মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ! ভারতের পরিস্থিতি উঠে এলো সমীক্ষায়

মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতেই রয়েছে মোট সম্পদের ৪০ শতাংশ! ভারতের পরিস্থিতি উঠে এলো সমীক্ষায়
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: সম্পদের অসম বন্টনের সেরা উদাহরণ হতে চলেছে মোদির ভারত। দেশের নামমাত্র কয়েকজন ধনকুবেরের হাতেই গচ্ছিত রয়েছে দেশের বিপুল অঙ্কের সম্পত্তি। এদের উল্টোদিকে রয়েছে দেশের দরিদ্র মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতেই রয়েছে মোট সম্পদের প্রায় ৪০ শতাংশ। সাম্প্রতিক কালের এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর পাশাপাশি দেশের মোট সম্পদের মাত্র ৩ শতাংশ রয়েছে আর্থিক ভাবে সবচেয়ে নীচের সারিতে থাকা প্রান্তিক জনগণের হাতে।
সোমবার অক্সফ্যামের তরফে প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এই দাবি করা হয়েছে। অক্সফ্যাম নামে ওই মানবাধিকার সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, দেশের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি ও সংস্থার হাতে। মোদির ভারতে আর্থিক বৈষম্য কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সমীক্ষা রিপোর্ট। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ভারতের ধনীতম ব্যক্তি আদানি গ্রুপের কর্ণধার গৌতম আদানির আয়ের উপর এককালীন কর বসালেই কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হতে পারে। দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর বার্ষিক সম্মেলনে ভারতের আর্থিক বৈষম্যের রিপোর্ট পেশ করেছে অক্সফ্যাম। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের ৪০ শতাংশ সম্পত্তি কুক্ষিগত করেছে দেশের ১ শতাংশ ধনকুবেররা। আর আর্থিকভাবে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশের দরিদ্র মানুষের হাতে রয়েছে মাত্র তিন শতাংশ সম্পদ।
মানবাধিকার সংস্থাটি তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, ভারতের সবচেয়ে ১০ জন ধনী ব্যক্তির আয়ের উপর যদি এককালীন ৫ শতাংশ হারে কর বসানো যায় তাহলে দেশের সমস্ত স্কুলছুট পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার খরচ উঠে আসবে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২১-এই পাঁচ বছরে গৌতম আদানির যা আয় হয়েছে, তার উপরে এককালীন কর বসালেই ১.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা উঠে আসবে। এই টাকায় ৫ লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। রিপোর্ট বলছে, শুধুমাত্র দেশের ১০ জন ধনী ব্যক্তিদের এককালীন করের টাকায় কেন্দ্রের দুই মন্ত্রকের মোট বরাদ্দ উঠে আসবে। অতিমারীর শুরুর থেকেই লাফিয়ে বেড়েছে ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পত্তির পরিমাণ। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, ১২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ভারতীয় ধনকুবেরদের সম্পত্তি।


