সূর্যের শিখায় নষ্ট হচ্ছে একের পর এক স্যাটেলাইট, দাবি বিজ্ঞানীদের

সূর্যের শিখায় নষ্ট হচ্ছে একের পর এক স্যাটেলাইট, দাবি বিজ্ঞানীদের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: সূর্য থেকে প্রতিনিয়ত বেরিয়ে আসছে বিকিরণ। আর সেই বিকিরণের তেজে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি। ক্ষতিগ্রস্ত স্যাটেলাইটগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ হচ্ছে যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেগুলি ভেঙেও পড়ছে। এমনকী সেগুলির পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ।
সূর্য থেকে গোটা সৌরমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ছে এই তীব্র সৌরশিখা। এ এক ভয়াবহ মহাজাগতিক ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রতি ১১ বছর অন্তর এই ঘটনা ঘটে থাকে। সূর্য থেকে তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সৌরশিখার স্রোত। এটি একটি চক্রের মতো। যা ১১ বছর পর পর ফিরে আসে। এই বিষয়টি অবশ্য বিজ্ঞানীদের অজানা নয়। কিন্তু এবার তা যে এতটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে চলে যাবে সেটা কারও কল্পনাতেও ছিল না। আর সেটা আন্দাজ করতে না পারার ফলেই এই বিপত্তি, দাবি বিজ্ঞানীদের।
সূর্যের এই বিকিরণ শুরু হওয়ার পর থেকে বিজ্ঞানীরা তার ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছিলেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণেই ধরা পড়ে এই ঘটনা। তাঁরা দেখেন, জ্বলন্ত সৌরশিখার এই ভয়ংকর স্রোতের জেরে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্যাটেলাইটগুলি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই সৌরশিখা বা সোলার ফ্লেয়ার হল সূর্যের ম্যাগনেটিক এনার্জির তীব্র বিস্ফোরণ। এই সোলার ফ্লেয়ার মহাজাগতিক বিস্ফোরণগুলির মধ্যে সব চেয়ে বড় ঘটনা। সাধারণ ভাবে এর সময়সীমা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত হয়ে থাকে। গত কয়েকদিন ধরে এই সোলার ফ্লেয়ার শুরু হয়েছে। এর কারণে সূর্যের অভ্যন্তর এখন খুবই সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে বলেই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই ফ্লেয়ার ঠিক কতদিন ধরে চলতে পারে এনিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছুই বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা।


