হাতেখড়িতে মুগ্ধ একদা বিজেপি তথাগত, শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপরা কি গেলেন?

হাতেখড়িতে মুগ্ধ একদা বিজেপি তথাগত, শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপরা কি গেলেন?
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজভবনের হাতেখড়ি নিয়ে বাংলার রাজনীতি একেবারে সরগরম হয়ে উঠেছে। রাজভবনের কোনো অনুষ্ঠানে গেরুয়া শিবিরের কোনো নেতাই নেই, এরকম ছবি সাম্প্রতিককালে কখনো দেখা যায়নি। তবে উপস্থিত ছিলেন একসময়ের বিজেপি নেতা বলে পরিচিত তথাগত রায়। সেই অর্থে অফিসিয়ালি বাংলা বিজেপির কোনো নেতাকেই রাজভবনের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল না। সরস্বতী পুজোর দিন বিকেলে রাজভবনের উঠোনে হাতেখড়ি দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
কেরলের মানুষ রাজ্যপাল আনন্দ বোস বাংলা শিখতে চান বলে রাজ্যপাল হওয়ার পরেই জানিয়েছিলেন। আর সেই হাতেখড়ি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে হবে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই নিয়েই গেরুয়া শিবির তোলপাড়। বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত রাজ্যপালের এই বাংলা শেখার হাতেখড়িকে আদিখ্যেতা বলেছিলেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালের এই আচরণ সাংবিধানিক প্রধানসুলভ নয় বলে মন্তব্য করেছেন। রাজভবনের এই অনুষ্ঠানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু আমন্ত্রিত ছিলেন। কিন্তু তিনি উপস্থিত হননি। আবার দিলীপ ঘোষ বলেন, তাকে রাজভবন আমন্ত্রণ জানায়নি। এক সময় বিজেপির নেতা হিসেবে যার পরিচয় রয়েছে, সেই তথাগত রায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর কথায়, বিজেপির আমি কেউ নই। একজন সমর্থক। কে ওদের এলেন আর কে এলেন না, আমি কিছু বলতে পারব না। হয়তো কোনো রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই আসেননি।
তবে রাজভবনের এই অনুষ্ঠান সম্পর্কে তথাগত যথেষ্ট প্রশংসা করেছেন। তাঁর কথায়, মনোমুগ্ধকর একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। বাংলা এবং মালায়ালি সংস্কৃতির মিশেল দেখা গিয়েছে। যেটা খুবই রুচিশীল ছিল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বাংলা বিজেপির সঙ্গে তথাগতর সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেছেন তথাগত রায়। বাংলার বিজেপি কামিনিকাঞ্চনে ডুবে আছে বলেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। তবে বর্তমানে তিনি যে বিজেপিতে নেই, সেটা নিজেই জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তরফে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি বিজেপিতে থাকতেন, তাহলে আজকের এই অনুষ্ঠানে কি করতেন? জবাবে ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল বললেন, তখন কি হতো, সেটা আমি এখন বলতে পারব না। রাজভবনকে বাংলার গেরুয়া শিবির যেভাবে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল, বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, সেই ছবি আমুল বদলে গিয়েছে।


