শহিদ দিবসে ব্যারাকপুরের গান্ধি ঘাটে সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় জুতো পায়ে রাজ্যপাল ও মন্ত্রী, শুরু বিতর্ক

শহিদ দিবসে ব্যারাকপুরের গান্ধি ঘাটে সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় জুতো পায়ে রাজ্যপাল ও মন্ত্রী, শুরু বিতর্ক
30 Jan 2023, 11:45 PM

শহিদ দিবসে ব্যারাকপুরের গান্ধি ঘাটে সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় জুতো পায়ে রাজ্যপাল ও মন্ত্রী, শুরু বিতর্ক

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: সোমবার ৩০ জানুয়ারি জাতিক জনক মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে গোটা দেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল শহিদ দিবস। এই উপলক্ষ্যে ব্যারাকপুরের গান্ধিঘাটে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল ও বিশিষ্টজনেরা। গান্ধির সৌধতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এদিন সর্বধর্ম প্রার্থনা সভায় যোগ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। কিন্তু দু’জনেই প্রার্থনা সভার মঞ্চে জুতো পায়ে উঠে পড়েন। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বাকিরা জুতো খুলে উঠলেও রাজ্যপাল ও মন্ত্রী দুজনেই জুতো পরে ওঠে পড়েন। তবে গান্ধির সৌধে শ্রদ্ধা জানাবার সময় দুজনেই জুতো খুলে উঠে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান।

এই নিয়ে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক পরে বলেন, আমি প্রথম এই অনুষ্ঠানে এসেছিলাম। বিষয়টা বুঝতে পারিনি। রাজ্যপালের পায়ে জুতো ছিল তাই ওকে দেখে আমিও জুতো পায়েই মঞ্চে উঠে যাই। এটা নিতান্তই অনিচ্ছাকৃত ভুল। এভাবেই তিনি বিতর্কে জল ঢেলে দেন। তবে এদিন অনুষ্ঠানে অংশ নিলেও রাজ্যপাল কোনও কথা বলেননি। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁরা ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি, রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতন নির্মল ঘোষ, স্থানীয় বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী-সহ প্রশাসনের একাধিক কর্তারা। এদিনের অনুষ্ঠানে রামধনু সঙ্গীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের শিল্পীরা। এরপর জাতির জনকের স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে গান্ধিজির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যপাল ও অন্যান্য অতিথিরা। তারপর তাঁরা প্রার্থনা সভাতেও অংশ নেন। এদিন একই সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে পানিহাটিতে গান্ধিজির স্মৃতি বিজড়িত খাদি আশ্রম সংস্কারের কাজ শুরু হল।

এদিন গান্ধিজির প্রয়াণ দিবসে খাদি আশ্রমে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। অতিথিরা গান্ধির ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরিবেশিত হল গান্ধিজির প্রিয় রামধনু সংগীত। স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই খাদি আশ্রমকে আগেই হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই আশ্রমের সমস্ত ঐতিহ্য বজায় রেখে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই খাদি আশ্রম সংস্কারের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি একে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বসানো হবে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড।

Mailing List