সাদা নয়, বেগুনি লাল কাশফুল! নাকি অন্য প্রজাতি

সাদা নয়, বেগুনি লাল কাশফুল! নাকি অন্য প্রজাতি
ড. সমরেন্দ্র নাথ খাঁড়া
জঙ্গলমহলে বিশেষ করে পুরুলিয়ার বিভিন্ন জমি ও রেল লাইনের ধারের জঙ্গলে বেশি দেখা যায় কাশফুলের মতো সৌন্দর্য শোভা। আশ্বিনের পর এই ফুল ফোটে। পৌষ পার্বনের পর ঝরে যায়। শারদীয়ার সাদা কাশের রূপ সৌন্দর্য্যের পর পুরুলিয়া তথা জঙ্গলমহলে এক পরম পাওয়া। ফুলের রঙ বেগুনি লাল। অনেকটা কাশ্মীরের জায় জয়িত্রি ফুলের মতো সৌন্দর্য্য বিরাজ করে।
এটা তৃণ জাতীয় উদ্ভিদ। অনেকটা নল খাগড়া বা শরবনের মতো দেখতে। জঙ্গলমহলের আনাচে কানাচে অনাদরে অবহেলায় শোভাবর্ধন করে। দেশো বা দেশো ঘাস, ক্যাসুয়া ঘাস নামে পরিচিত। বিজ্ঞানসম্মত নাম হলো পেনিসেটাম পেডিসেলাটাম। এটি মনোকট অ্যাঞ্জিওস্পার্ম উদ্ভিদ পোয়েসি পরিবারভুক্ত। এটা ইথিওপিয়ার একটি আদিবাসী ঘাস। এটি নাইজেরিয়ায় বার্ষিক কিয়াসুওয়া ঘাস, মৌরিতানিয়ায় খালি এবং ভারতে দীনানাথ ঘাস নামেও পরিচিত।
এটি গবাদি পশুর খাদ্যের জন্য আদর্শ। জমির ছোট প্লটে টেকসইভাবে চাষ করা যেতে পারে। এইভাবে দেশো ঘাস ক্রমবর্ধমানভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিভিন্ন মাটি ও জল সংরক্ষণ কৌশলগুলির সাথে, একটি স্থানীয় পদ্ধতি হিসাবে চারণভূমি ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং স্থানীয় অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান উৎপাদনশীলতা সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ব্যবহারের আদর্শ।
লেখক: উপ-উদ্যান পালন আধিকারিক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
ছবি: সত্যম কুদমি।


