ডলারে নয়, এবার ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে দু’দেশের মুদ্রা বিনিময়ের প্রস্তাব

ডলারে নয়, এবার ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে দু’দেশের মুদ্রা বিনিময়ের প্রস্তাব
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: বাংলাদেশের ভাঁড়ারে এখন বাড়ন্ত মার্কিন মুদ্রা। তার থেকে নিস্তার পেতে ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা চালুর সুপারিশ এসেছে। এদিন ঢাকায় দু’দেশের এক আলোচনাসভায় এই প্রস্তাবটি তুলে ধরা হয়। এতে দু’দেশেরই সুবিধা হবে।কারণ বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সিংহভাগ মেটায় রেমিটেন্স। বাংলাদেশে প্রায় কোটির উপর মানুষ বিদেশে গিয়ে কাজ করছেন। তাঁরাই দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠিয়ে থাকেন। যে কারণে করোনা সংকটও দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারেনি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারা বিশ্বে জ্বালানি ও খাদ্যের উপর প্রভাব পড়েছে। যার থেকে রেহাই মেলেনি বাংলাদেশেরও।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান বলেছেন, “ভারত ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থানীয় মুদ্রায় করতে পারে। এতে দুই দেশই সুবিধা পাবে।” একইসঙ্গে তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পাশাপাশি অন্যান্য প্রদেশেও বিনিয়োগ ও পণ্য রপ্তানিতে আগ্রহী হওয়ার জন্য বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় বর্মা বলেন, ‘বর্তমানে সাতটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নকাজ চলছে। এগুলো শেষ হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও সহজ হবে’। এর পাশাপাশি বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে সীমান্তবর্তী বর্ডার হাট কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।


