একুশের মঞ্চে কোন চমক, চেপে গেলেন মমতা

একুশের মঞ্চে কোন চমক, চেপে গেলেন মমতা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: উনিশের পর বাইশ। দুবছর পর ফের শহিদ দিবস। ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। যা নিয়ে কর্মী সমর্থকদের আবেগ একটু বেশিই। শীর্ষনেতাদের দাবি, আগের সব রেকর্ড ভাঙবে বাইশের একুশে জুলাই। এবার একুশের সভায় দলনেত্রী কী বার্তা দেন শোনার অপেক্ষায় রয়েছে ঘাসফুল শিবির।
তবে সভা শুরুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে যে প্রশ্ন গোটা শিবিরে ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল এবার কে? প্রতি বছরই কোনও না কোনও একজন হেভিওয়েট একুশের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিগত কয়েক বছর ধরে এটাই রীতি হয়ে গিয়েছে। প্রশ্ন সেটা কে হবেন ? সংখ্যাটা কী একজন নাকি একাধিক? তারা কারা? রাজনীতির লোক, নাকি সেলুলয়েডের তারকা? উঠছে প্রশ্ন, যার উত্তরে এখনও মুখে কুলুপ নেতৃত্বের।
বুধবার ধর্মতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর উত্তরে বলেন, চমক মানেই কি যোগদান, একটু অপেক্ষা করুন, রাত পোহালেই দেখতে পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলবেন সেটাই তো চমক! কিন্তু এতে কী আর জনতার কৌতুহল মেটে? নেতা, নেত্রীরা এ নিয়ে কোনও উত্তর না দিলেও দলের অন্দরে কান পাতলে উঠে আসছে দুটি নাম, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে বুধবার সন্ধে পর্যন্ত যা খবর কেউই এখনও ফাইনাল নয়। তবে দলের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে এ নিয়ে জল্পনা অন্তহীন। রূপার পাশে আর যে নামটা বারবার উঠে আসছে তাহল শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। কদিন আগেই নবান্নে গিয়ে দলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর তিনিও এখন দৌড়ে চলে এসেছেন। তবে শোভনকে অনেক সমস্যা। আছে রত্না ও বৈশাখী ফ্যাক্টর।
তবে এও শোনা যাচ্ছে একুশের মঞ্চে তাঁকে হাজির করানোর চেষ্টা হয়েছিল, তা নাকি খুব একটা এগোয়নি। তবে চেষ্টা জারি আছে বলেই খবর। তাই সমস্ত সম্ভাবনাই খোলা রাখা হচ্ছে। আসলে দুবছর পর হতে চলা একুশের মঞ্চে দল একটা বড় নামকে সামনে আনতে মরিয়া। তাই কে থাকবেন জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে নিয়ম মেনে দু'চারজন তারকা থাকবেন এটা বলেই দেওয়া যায়। তবে নাম হিসেবে তাঁরা নেহাতই চুনোপুঁটি। দল বদলের তালিকায় বঙ্গ বিজেপির জনা দুয়েক সাংসদ থাকলেও একুশের মঞ্চে তাদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। যদি না কোনও অঘটন ঘটে।


