ভয়ঙ্কর হারে প্রকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা!  জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে আগামী এক দশকে কয়েক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে চলেছেন, বলছে সমীক্ষা

ভয়ঙ্কর হারে প্রকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা!  জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে আগামী এক দশকে কয়েক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে চলেছেন, বলছে সমীক্ষা
29 Apr 2022, 07:00 PM

ভয়ঙ্কর হারে প্রকৃতিক দুর্যোগ বাড়ার আশঙ্কা!  জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে আগামী এক দশকে কয়েক কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হতে চলেছেন, বলছে সমীক্ষা

 

চলতি বছরেই অপেক্ষা করে রয়েছে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়। গোটা বিশ্বকে এই ভাষাতেই সম্প্রতি সতর্ক করে দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। তাঁরা বলেছে, বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন ও এই পরিবর্তন জনিত ক্ষতিগুলি নিয়ে মানুষ যদি দ্রুত সতর্ক না হয়, যদি সেই মতো আচরণ না করে, তবে মানবজাতির জন্য অপেক্ষা করছে ভয়াবহ দুর্যোগ ও মহাবিপর্যয়। নিশ্চিত ভাবেই যা এড়ানো কঠিন হবে।

রাষ্ট্রসংঘের দুর্যোগ ও ঝুঁকি প্রশমন দফতর বা ইউএনডিআরআর-এর পক্ষ থেকে চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ, এই দু'য়ের জেরে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়তে চলেছে। সেই সঙ্গে আগামী এক দশকে বিশ্বের আরও কয়েক কোটি মানুষকে উদ্বাস্তু হতে হবে মূলত পরিবেশের কারণে। এই ধরনের এনভায়রনমেন্টাল রিফিউজি-র সংখ্যা আগামীদিনে লাফিয়ে বাড়বে বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।

ওই সমীক্ষায় আরও দাবি করা হয়েছে, শেষ দু'দশকে প্রতি বছর ৩৫০-৫০০টি মাঝারি মাপের দুর্যোগের শিকার হয়েছে বিশ্ববাসী। এটি আগের তিন দশকের গড় দুর্যোগের পাঁচ গুণ বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নই হল এইসব দুর্যোগের নেপথ্য কারণ। দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে ভয়াবহ খরা, বন্যা এবং হিট ওয়েভ। আগামি দিনগুলিতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। ২০২২ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এমন দুর্যোগের সংখ্যা বছরে ৬০০-র কাছাকাছিও চলে যেতে পারে।

এর আগে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যাটা ছিল বছরে ৪০০টি। আর তার আগের সংখ্যাটা তো আমাদের চমকে দেবে। ১৯৭০-২০০০ সাল সময় পর্বে বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যাটা ছিল বছরে মাত্র ৯০ থেকে ১০০টি। অথচ এরপরও মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না বলেই ওই রিপোর্টে আক্ষেপ করা হয়েছে। তাঁর বেহিসেবি আচরণই যে তাঁর ধ্বংস ডেকে আনছে, এটা কোনও ভাবেই মানুষকে বোঝানো যাচ্ছে না।

Mailing List