বারাসাত স্টেশনে চলমান সিঁড়ি নির্মাণের পাশাপাশি একগুচ্ছ উন্নয়নের দাবি জানালেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার, উত্তরে কী জানালো রেল

বারাসাত স্টেশনে চলমান সিঁড়ি নির্মাণের পাশাপাশি একগুচ্ছ উন্নয়নের দাবি জানালেন সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার, উত্তরে কী জানালো রেল
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, বারাসাতঃ বারাসত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। অথচ, সেখানে নেই চলমান সিঁড়ি। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থদের। শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার বারাসাত রেল স্টেশনে এবার দুটি চলমান সিঁড়ি তৈরির দাবি জানালেন বারাসাতের চিকিৎসক সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার।
শুধু এটাই নয়, রেলগেট গুলির ভগ্নদশা দূর করার দাবিও তুলেছেন তিনি। সংস্কারের অভাবে রেল গেট এবং রেলের অধীনে থাকা রাস্তাগুলির বেহাল দশা। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। সেগুলি দ্রুত মেরামত করার দাবিও জানান সাংসদ। বুধবার হাওড়ার রেল ভবনে শিয়ালদহ ও হাওড়া'র ডিভিশানাল ম্যানেজার ও ইষ্টার্ড় রেলের জেলারেল ম্যানেজার সহ একাধিক রেল আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াদের সঙ্গে সাংসদদের একটি আলোচনা হয়। সেখানেই এই প্রস্তাব ও প্রশ্ন তোলেন কাকলী ঘোষ দস্তিদার।
এদিন সাংসদ জানান, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসাত। প্রতিদিন কাজের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার মানুষ এই জংশন স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন। বহু বয়স্ক, অসুস্থ ও শিশুরা স্টেশনটি ব্যবহার করেন। তাদের কথা ভেবেই সাংসদ হিসেবে আমি দুটি চলমান সিঁড়ির আবেদন করেছি। রেল কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছেন শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বেশকিছু রেলগেট ও রেলগেটের ভেতরে থাকা রাস্তা, যেটা রেলের দেখভাল করার কথা সেগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। সেগুলি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। নিত্যদিন দুর্ঘটনা ঘটছে। সেগুলি অর্থাৎ শিয়ালদহ-বনগাঁ ও বারাসাত-হাসনাবাদ শাখার ১১, ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৬ নম্বর দ্রুত সংস্কারের আবেদনও জানিয়েছি। এছাড়াও হাবড়া স্টেশনে বড় ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্টোর রুম তৈরিরও আবেদন করেছি। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাঁর দাবিটাই আমি এদিন আবারও তুলে ধরেছি।
বারাসাতে চলমান সিঁড়ির প্রস্তাবের কথা প্রকাশ্যে আসতেই বারাসাতবাসী সহ নিত্যদিনের রেল যাত্রীদের মুখ চওড়া হাসি ফুটেছে। তাঁরা সাংসদের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি কালিপুজোর আগে রেলগেট ও রেলগেটের রাস্তা সংস্কার হলে দুর্ঘটনা কমবে বলেও সাধারণ মানুষের দাবি।


