চব্বিশের আগে সিএএ নিয়ে চূড়ান্ত দ্বিধায় মোদি-শাহরা

চব্বিশের আগে সিএএ নিয়ে চূড়ান্ত দ্বিধায় মোদি-শাহরা
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: সামনেই চব্বিশের নির্বাচন। তার আগে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে দেশের উন্নয়ন থেকে দলের পরবর্তী পরিকল্পনা-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল বিজেপি। বৈঠকে এনিয়ে একটি খসড়া প্রস্তাবও পাস হয়েছে। তবে এত কিছু বলা হলেও ওই প্রস্তাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি পদ্ম শিবির। যা নিয়ে দলের মধ্যেই তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।
এমনকী রবিবার দলের কর্মসমিতির বৈঠকে দলের খসড়া রাজনৈতিক প্রস্তাব নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও এই নিয়ে একটা কথা বলেননি। তবে কী সিএএ থেকে পিছু হঠছে গেরুয়া শিবির, প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে বিজেপির অন্দরেই। তবে এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের বাইরে গিয়ে প্রকাশ্যে কেউই কিছু বলতে রাজি নয়। সিএএ নিয়ে নীরব থাকলেও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপকে দলের সাফল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে এটা পরিষ্কার, বিতর্কিত সিএএ নিয়ে এবার কিছুটা সাবধানী হয়েই পা ফেলতে চাইছে বিজেপি। সাংবাদিকরা সিএএ নিয়ে প্রশ্ন করলেও তাঁর স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
এদিকে সংসদে সিএএ বিল পাস হলেও তা এখনও দেশের কোথাও চালু করতে পারেনি মোদি সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে সময় চেয়েছে সরকার। এনআরসির পাশাপাশি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়েও উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের মতো দেশের সংখ্যালঘুদের এদেশের নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এই আইনে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছিল মুসলিমদের। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল গোটা দেশে। প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন মোদি বিরোধীরাও। এরপরই এই আইন দেশে চালু হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। তাই চব্বিশের আগে সিএএ নিয়ে বিজেপি ধীরে চলো নীতি নিয়েছে, এমনই দাবি রাজনৈতিকমহলের। জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে তা এড়িয়ে গিয়ে সেই দাবিতেই সিলমোহর দিল গেরুয়া শিবির।


