সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির পরিমিত ব্যবহার বাড়াতে পারে আয়ুষ্কাল, দাবি গবেষকদের

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির পরিমিত ব্যবহার বাড়াতে পারে আয়ুষ্কাল, দাবি গবেষকদের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: মানুষ এখন ফেসবুকে দিনের অধিকাংশ সময় অতিবাহিত করেন। তবে স্যোশাল মিডিয়ায় মাত্রাতিরিক্ত সময় কাটানো কতটা প্রভাব ফেলছে আমাদের নিত্য জীবনে? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলির অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে কি আমাদের বাস্তব জীবনের সম্পর্কগুলো ঠুনকো হয়ে যাচ্ছে?
এ বিষয়েই সম্প্রতি মতামত জানিয়েছেন একদল গবেষক। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলির পরিমিত ব্যবহার আয়ুষ্কাল বাড়াতে ভূমিকা রাখে, যদি সে ব্যবহারের ফলে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়। গবেষক উইলিয়াম হবসের মতে, অনলাইনে আলাপচারিতা স্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে যদি তা পরিমিত পর্যায়ের হয়।
অনেক সময় অফলাইনেও এর প্রতিফলন দেখা যায়। অর্থাত্ সে সম্পর্কটি যদি অফলাইনেও একই রকম পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া যুক্ত হয়, তবে ভালই। অন্যদিকে বাস্তব জীবনের সম্পর্ক ব্যতীত যাঁরা অনলাইনে অনেক সময় ব্যয় করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এর ফলাফল হয় নেতিবাচক। তাঁদের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয় আসক্তি বরং মৃত্যু ত্বরান্বিত করে।
এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা ১৯৪৫ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী ক্যালিফোর্নিয়ায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। তাঁদের ফেসবুক প্রোফাইলের নাম এবং জন্মতারিখ যাচাই করার জন্য একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন গবেষকেরা। তাতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রায়ই ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাঁরা ফেসবুক ব্যবহার করেন না এমন ব্যক্তিদের তুলনায় দীর্ঘজীবী হন।


