ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় জল-সঙ্কট মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগের কথা শোনালেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় জল-সঙ্কট মোকাবিলায় নয়া উদ্যোগের কথা শোনালেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের কথা সকলেরই জানা। পাথুরে মাটি। ফলে জলধারণ ক্ষমতা কম। আর তারই জেরে গ্রীষ্মকালে তীব্র জলসঙ্কট দেখা দেয়। এমনকী, বছরের অন্যান্য মরশুমেও বেশি বৃষ্টিপাত না হলে সেচের জন্য পর্যাপ্ত জল মেলে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন চাষিরা। এমনিতেই এই দু’টি জেলা পিছিয়ে পড়া। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বাস বেশি। এবার এই দু’টি জেলাতে জল সঙ্কট মেটাতে উদ্যোগী হল রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর।
তীব্র জল সঙ্কটে ভোগা জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে পানীয় ও সেচের জলের যোগান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই মর্মে নিদেশ দেন তিনি। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জল সমস্যার কথা জানার পর তিনি সেচের জলের ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেন। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে তড়িঘড়ি মাঠে নেমেছে রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া শুক্রবার দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকও করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায় সেচের জলের যোগান সুনিশ্চিত করতে সেখানে ৫০ টি নতুন চেক ড্যাম তৈরি করা হবে। চলতি বছরের মধ্যেই এই পঞ্চাশটি চেক ড্যাম তৈরির নির্দেশ দেন মন্ত্রী। দ্রুত প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে কাজ শুরু করার জন্যও তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে জল সঙ্কটে ভোগা জঙ্গল মহলের আরেক জেলা পুরুলিয়ায় পানীয় ও সেচের জলের যোগান দিতে নতুন প্রযুক্তির সন্ধান করা হচ্ছে বলে মানস বাবু জানান। মানসবাবু জানান, পুরুলিয়ার ভূগর্ভস্থ জলের অবস্থা কেমন প্রথমে তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপর কিভাবে সেই জলকে সেচ ও পানীয় জলের কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শীঘ্রই সমীক্ষা শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।



