তল্লাশির নামে বাড়িতে হানা, লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, ঘটনায় জড়িত সিআইডি অফিসার! তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের

তল্লাশির নামে বাড়িতে হানা, লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ, ঘটনায় জড়িত সিআইডি অফিসার! তদন্তে নেমে চোখ কপালে পুলিশের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: তল্লাশি চালানো হয় সিগারেট ব্যবসায়ীর দোকানে। সব সিগারেট নকল বলে ৬ লক্ষ টাকার মাল তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। অস্ত্র দেখানোয় ব্যবসায়ী কিছুই করতে পারেনি।
শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীর ভাগ্নেকেও তুলে নিয়ে যায় মালপত্রের সঙ্গে। তারপর ব্যবসা স্থল থেকে যায় ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেখান থেকে নগদ আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। তারপরেও ভাগ্নেকে ছাড়েনি। পরে ভাগ্নেকে অপহরণের মুক্তিপণ হিসেবেও দাবি করা টাকা। কিছু টাকায় দেওয়ায় ছাড়া হয় ভাগ্নেকে।
অবশেষে তদন্তে নেমে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে সাতজনকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রের মূল পান্ডাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রের মাথার নাম সালাউদ্দিন করিম। এই সালাউদ্দিন করিম সিআইডি ইন্সপেক্টর।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সিআইডি পরিচয় দিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের সাড়ে ছয় লাখ টাকার মাল লুট করার পাশাপাশি বাড়ি থেকেও আড়াই লক্ষ টাকা লুট কর হয়। পরে শহিদুলের ভাগ্নে জাবেদকে অপহরণ করে খুনের হুমকি দিয়েও মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের প্রধান সালাউদ্দিন করিম সিআইডি ইন্সপেক্টর পরিচয় দিয়ে ঢাকায় একাধিক ছিনতাই, ডাকাতি ও টাকা লুঠের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। সে জন্য সে সরকারি অস্ত্র এবং সরকারি গাড়িও ব্যবহার করতেন। তিনি সিআইডির ঢাকা মহানগর উত্তর অঞ্চলে কর্মরত। তিনি যে সিআইডি ইন্সপেক্টর তা স্বীকারও করে নিয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে কোট করে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া সালাউদ্দিন করিম সিআইডির পরিদর্শক। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।


