মেদিনীপুর: পিংলার মেয়ে প্রণতি চীনের এশিয়ান গেমসে গিয়েও অসাধ্য সাধন করলেন

মেদিনীপুর: পিংলার মেয়ে প্রণতি চীনের এশিয়ান গেমসে গিয়েও অসাধ্য সাধন করলেন
26 Sep 2023, 11:00 AM

মেদিনীপুর: পিংলার মেয়ে প্রণতি চীনের এশিয়ান গেমসে গিয়েও অসাধ্য সাধন করলেন

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: একেই বলে অসাধ্য সাধন। আর তা করে দেখালেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার মেয়ে প্রণতি। এশিয়ান গেমসের জন্য আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন চীনে। এবার সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন ফাইনালেও। না, একটি বিভাগে নয়। দু’দু’টি বিভাগে।  মহিলাদের জিমন্যাস্টিক্সে ভল্ট এবং অল রাউন্ড বিভাগের ফাইনালে উঠেছেন তিনি।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলার মেয়ে প্রণতি নায়েক। আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল তিনি প্রতিভাধর। এবার তার প্রমাণও দিলেন। চীনে ১৯ তম এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছে প্রণতি নায়েক। সোমবার সকালে জিমন্যাস্টিক ভোল্টে জেতার পরেই ৯টা নাগাদ ফোন করেন পিংলায়। যেখানে রয়েছেন‌ তাঁর বাবা শ্রীমন্ত এবং মা প্রতিমা নায়েক। কথা বলেন বাবা-মায়ের সাথে। আগামী বৃহস্পতিবার হবে চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।  শ্রীমন্ত বাবু বলেন, "মেয়ে এদিনের প্রতিযোগিতায় জেতার পর ফোন করেছিল। ওকে সাবধানে থাকতে বলেছি। আরও বেশি করে খেলায় মনোযোগ দিতে বলেছি। যাতে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতাতেও সাফল্য আসে। তবেই তো দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারবে আমার মেয়ে।’’

তবে এব্যাপারে আশাবাদী প্রণতি। অন্তত তেমনটাই জানিয়েছেন বাবা-মাকে। বাবা বলেন, ‘‘মেয়ে জানিয়েছে প্রথম, দ্বিতীয় স্থানের মধ্যে থাকার চেষ্টা করবে।’’ উল্লেখযোগ্য, এবার বাংলার একমাত্র প্রতিনিধি এই প্রণতি নায়েক। যিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের করকাই চককৃষ্ণদাস গ্রামের বাসিন্দা।

গত ২০২১ সালের ২৫ জুলাই টোকিয়ো অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন প্রণতি। মা প্রতিমাদেবী বলেন, “ছোটবেলা থেকেই খেলার সঙ্গে মন ছিল পড়াশোনাতেও। ওর সেজ মামী ভর্তি করে দিয়েছিল জিমন্যাস্টিক্সে। আমি গর্বিত যে ও এত দূর পৌঁছতে পেরেছে।” বাবা শ্রীমন্ত নায়েকও গর্বিত মেয়ের সাফল্যে। বলেন, “অভাবের সংসারে ঠিক মতো খাবার দিতে পারিনি। তার পরেও যে ও এত দূর যেতে পেরেছে, আমি তাতেই গর্বিত। দেশের নাম উজ্জ্বল করুক ও।” মেয়ের হার না মানা জেদে ভরসা আছে শ্রীমন্তের। ভাল কিছু করে দেখাবেন প্রণতি, এমনটাই আশা তাঁর। বাবা পেশায় বাসের চালক হলেও কয়েক বছর হলো সেই কাজ তিনি আর করেন না। মা গৃহবধূ। প্রণতিরা তিন বোন। কিন্তু খেলার প্রতি অদম্য জিদ থাকায় তাঁকে কেউ আটকে রাখতে পারেনি। তাই প্রত্যন্ত গ্রাম থেকেও তিনি পৌঁছে গিয়েছেন এশিয়ান গেমসে। প্রণতির জন্য শুধু তাঁর বাবা-মাই নয়, পিংলার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তো বটেই, তাকিয়ে রয়েছে সারা বাংলা।

Mailing List