মেদিনীপুর: ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা বিনিময়
মেদিনীপুর: ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থানে ভারত ও বাংলাদেশের পতাকা বিনিময়
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন, পশ্চিম মেদিনীপুর: ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার অপরাহ্নে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তচ পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে। হার না মানা এবং চির প্রতিবাদী বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ গ্রামে, ভারত এবং বাংলাদেশ দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা বিনিময় হল। দুই দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, যার স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
স্বপনবুড়ো স্মৃতি রক্ষা সমিতির উদ্যোগে মূলত এই অনুষ্ঠান হয়। সোমবার বীরসিংহ বিদ্যাসাগর গ্রামীন গ্রন্থাকার এর বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল। ওই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় ঠাকুরদাস মঞ্চে। ঘাটাল মহকুমার মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্যাসাগর ও সাহিত্য অনুরাগী দের এক প্রতিনিধি দল এর সাথে দুই রাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা বিনিময় হয়। বাংলাদেশের ওই প্রতিনিধি দলের নাম আনন্দ নিকেতন। ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার এবং বাংলা ভাষা আন্দোলনের নেত্রী এবং শিল্পী কোহিনুর রহমান এবং কবি সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীরা।
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, সংস্কৃতি দেশ কাল মানে না। আজ ভারত এবং বাংলাদেশ দুই দেশ মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। তিনি বর্ণপরিচয় এবং আদর্শ লিপি সম্বন্ধে বলেন। সুমন বাবু বলেন, বাঙালি জাতির গর্ব বিদ্যাসাগর। তিনি ব্রিটিশদের কাছে নতি স্বীকার করেন নি। স্বপনবুড়ো তথা সাহিত্যিক অখিল নিয়োগী সম্বন্ধেও মহকুমা শাসক বলেন।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের তরফে বলা হয়, ভারত এবং বাংলাদেশ বন্ধু রাষ্ট্র। কোনো দিন মনে হয় নি যে বাংলাদেশ থেকে ভারত বর্ষ দুর বলে। দুই দেশকে আত্মীয় বলে অভিহিত করেন কোহিনুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল কলেজের অধ্যক্ষ মন্টু কুমার দাস, বীর সিংহ ভগবতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের সম্পাদক শক্তিপদ বেরা সহ অন্যান্যরা।
