আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে বাম আমলের অনেকেই জেলে থাকতো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে বাম আমলের অনেকেই জেলে থাকতো: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: অনবরত বাংলাকে বদনাম করছে একদল লোক। কিন্তু আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। আমরা প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে বাম আমলের অনেকেরই এতদিনে জেলে ঠাঁই হতো। নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রের ‘জাগোবাংলা’-র শারদ সংখ্যার উদ্বোধনের মঞ্চে এই ভাষাতেই বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কোথাও ব্যক্তিগত বক্তব্য রাখলেও তা নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। এ নিয়েও এদিন সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।
কদিন আগে কর্মসংস্থানের কথা বলতে গিয়ে ঝালমুড়ি, ঘুঘনি বিক্রির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর এই কথা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কটাক্ষ করে চলেছে বিরোধীরা। এদিন তা নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। মমতা বলেন, একসময় দিল্লিতে গেলে লজ্জা হতো। বাংলার নামে বদনাম করা কিছু লোকের কাজ। আর বাংলার নামে বদনাম করলে আমার খুব রাগ হয়। এই মাটির নামে বদনাম করলে রাগ হয়। এই মাটির কারও সম্পর্কে অসম্মান করলে রাগ হয়। যে যেখানেই থাকুন প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে একটা না একটা কার্মকাণ্ড থাকবেই। একটা কোথায় ছবি বের হল তা নিয়েও সমালোচনার ঝড়। আমাদের সংস্কৃতি তো মাথা তুলে চলার সংস্কৃতি। বাইরের কিছু লোক টাকা নিয়ে এখানে এমন কেউ নেই যে যার সম্পর্কে খারাপ কথা বলে না। যারা সকালে থেকে সারাদিন এসব করছেন তারা যদি বাংলায় কী কী উন্নয়ন হচ্ছে কোথায় কী ভালো কাজ হয়েছে তা যদি তুলে ধরতেন তাহলে বাংলার উন্নয়ন আরও প্রচার পেত। গোটা দেশে তা জানতে পারতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সমালোচনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপানারা আমাকে গালাগাল করুন আমার কিছু যায় আসে না। শুভ মহালয়ার দিনে মায়ের কাছে কামনা করব দেবী যেন সকলকে ভালো রাখেন। কারণ আমরা প্রতিহিংসা পরায়ণ নই। বদলা নয়, বদল চাই বলেছিলাম বলেই গত ৩৪ বছরের বাম আমলের কাউকে গ্রেফতার করিনি। প্রতিহিংসাপরায়ণ হলে বাম আমলের অনেকেই এখন জেলে থাকতো। কেউ ধোয়া তুলসীপাতা নয়। এভাবেই এদিন বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়েছেন তিনি।


