মমতার স্বপ্ন প্রকল্প তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার দায়িত্ব পেল আদানি গোষ্ঠী, ঘোষণা ফিরহাদের

মমতার স্বপ্ন প্রকল্প তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ার দায়িত্ব পেল আদানি গোষ্ঠী, ঘোষণা ফিরহাদের
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: রাজ্যের উন্নয়ন মানচিত্রে খুব শিগগিরই যুক্ত হতে চলেছে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে সোমবার বড়সড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব পেল আদানি গোষ্ঠী। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হল। শিগগিরই মুখ্যমন্ত্রীর ‘লেটার অফ ইনটেন্ড’ তাঁদের হাতে তুলে দেবেন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি আদানি গোষ্ঠী। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
অনেকদিন ধরেই এই বন্দর নিয়ে নানারকম আলোচনা চলছিল৷ তার মধ্যেই খবর এল, তাজপুর বন্দর পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী৷ ফিরহাদ হাকিম জানান, একাধিক সংস্থা এই গ্লোবাল টেন্ডারে অংশগ্রহণ করেছিল৷ সেই টেন্ডার পেয়েছে আদানি৷ এই বন্দরের বিল্ড ও অপারেট সিস্টেম পরিচালনা করবে আদানি গোষ্ঠী৷ ফিরহাদ জানিয়েছেন, এর ফলে রাজ্যে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হবে৷ পাশাপাশি, ফিরহাদ বলেন, এই নির্মাণে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও রকম সাহায্য করেনি৷ রাজ্য নিজেই উদ্যোগী হয়ে এই ব্যবস্থা করেছে বলে দাবি করেন তিনি৷ এর আগে চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সোমবার তাদের ইচ্ছেতেই সরকারি সিলমোহর পড়ল।
এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাজপুর বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হবে আদানি গোষ্ঠীকেই। তাঁরাই নির্মাণের পর যাবতীয় পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও কর্মসংস্থানের দায়িত্ব তাদেরই। এই বন্দর তৈরি হলে হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। ২০২৫ সালের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে এই গভীর সমুদ্র বন্দর৷ টেন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে লড়াইয়ে ছিল জিন্দালরাও। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল আদানিরাই।


