চোখের ঈশারায় ডেকে আবারও আলু পোস্ত চাইলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী! সকলে অবাক

চোখের ঈশারায় ডেকে আবারও আলু পোস্ত চাইলেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী! সকলে অবাক
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: চোখের ঈশারায় ডেকে নিলেন। কাছে যেতেই চেয়ে নিলেন আলু পোস্ত!
না, তিনি সাধারণ কেউ নন। এক সময়ের আম বাঙালির হার্ট থ্রব মিঠুন চক্রবর্তী। আলু পোস্ত দিয়ে কব্জি ডুবিয়ে তৃপ্তি সহকারে খেলেন ভাত। এমনই ঘটনা ঘটলো বাঁকুড়ায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যে ভোটের হাওয়া তুলতে দু’দিন আগেই রাজ্যে পৌঁছে গিয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথম দিন কলকাতায় ছিলেন। তারপরই হাজির হন পুরুলিয়ায়। সেখান থেক বাঁকুড়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কর্মসূচী সেরে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন মহাগুরু। আর তখনই দেখা গেল, খেতে খেতেই আলু পোস্ত চেয়ে বসলেন দু’বার। যা কল্পনাও করতে পারেননি সকলে।
কী খেলেন মিঠুন? খেলেন ভাত, ডাল, আলুপোস্ত, বেগুনভাজা, আলুভাজা, রুই পোস্ত এবং কাতলা মাছের ঝাল। শেষপাতে চাটনি, পাপড়, মিষ্টি। আলুপোস্ত ভাত, ডাল কেমন লাগলো? প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "আরে ভাই, এটাই তো আমার খাবার! নিজের হাতে পাশের জঙ্গল থেকে কাঁচা শালপাতা এনে থালা বানিয়েছে চন্দনা। এর থেকে খুশির কী আছে?’’
চন্দনাদেবী বলেন, উনি আমার নির্বাচনী প্রচারে এসে কথা দিয়েছিলেন আমার বাড়িতে এসে মধ্যাহ্ন ভোজ সারবেন। কথা রেখেছেন। এভাবে আমার বাড়িতে বসিয়ে তাঁকে যে কোনদিন খাওয়াতে পারবো স্বপ্নেও ভাবিনি।’’ শুধু তিনি নন, ওই গ্রামে যে কখনও মিঠুন চক্রবর্তী আসতে পারেন তা কী কেউ ভেবেছিলেন? সকলেই জানালেন, না। ফলে খুশির জোয়ারে ভাসলো কেলাই গ্রাম।
তাই গ্রামের রাস্তায় লালধুলো উড়িয়ে দুধ সাদা টয়োটা হাজির হতেই কেউ বললেন 'গুরু', কেউ আবার বললেন 'মহাগুরু'। তিনিও কখনও হাত নেড়ে, কখনও হেসে প্রতি উত্তর দিতে ভোলেননি।


