হাতে খড়ি দিলেন মদন মিত্র, তারপরই নিজস্ব ঢঙে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রেসিডেন্সিকে!

হাতে খড়ি দিলেন মদন মিত্র, তারপরই নিজস্ব ঢঙে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন প্রেসিডেন্সিকে!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: পুজো হলো গেটের বাইরেই। আর উপস্থিত হয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। ক্যাম্পাসের ভিতরে ছাত্র-ছাত্রীরা পুজো করতে চাইলেও অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তাই প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ক্যাম্পাসের বাইরে সরস্বতী পূজোর আয়োজন করেন। কলেজ স্ট্রিট লাগোয়া মুলগেটের বাইরে মন্ডপ বেঁধে পূজোর আয়োজন করা হয় টিএমসিপির তরফে। যাতে কোনোরকম অশান্তি না হয় সেই কারণে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ গেট বন্ধ করে দেন।
ক্যাম্পাসের ভিতরে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ কেন পুজো করতে দিলেন না, সেই প্রশ্নে কর্তৃপক্ষকে নিশানা করে মদন বলেন, আমার ধর্ম এখানে পালন করতে দেওয়া হলো না। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। পাশাপাশি তিনি এদিন স্লেট এবং পেন্সিল দিয়ে প্রতীকী হাতেখড়ি দেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন সংবিধান পাঠ করতেও দেখা যায় তাকে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর সরস্বতী পুজো করার জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর তাই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফলে প্রেসিডেন্সির গেটের বাইরেই পুজো করতে হয়েছে।
আর তাই তৃণমূল বিধায়ক কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, সংবিধান কোথাও বলেনি, পূজো না করতে। যে যার ধর্ম পালন করতে পারেন। কাপুরুষের মতো এরা ভিতর থেকে তালা দিয়ে দিয়েছে। এরা সেটা করতে দেয়নি। পাশাপাশি, এই কারণে বিজেপিকে নিশানা করেও তিনি বলেন, বিজেপির উচিত ছিল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা। কেন্দ্রীয় সরকার তো নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানতে পারতেন, সরস্বতী পুজো কেন করতে দেওয়া হবে না? এদিন মদন মিত্র একেবারে নিজস্ব স্টাইলেই ছিলেন।পরনে হলুদ রঙের পাঞ্জাবি এবং লাল ধুতি ছিল। চোখে ছিল রোদচশমা। প্রেসিডেন্সিতে সরস্বতী পুজো করতে না দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরও দাবি করেন, প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুকেও মানেন না।


