প্রেমময় যীশুখৃষ্ট, 'মসিহ' ঈশা / নবম পর্ব

প্রেমময় যীশুখৃষ্ট, 'মসিহ' ঈশা / নবম পর্ব
(এক তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ধর্মীয় কাহিনী)
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
ঈশ্বরের পুত্র, পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করলেন।
জগতের লোকের ত্রাণকর্তা--- নরকলেবরে উপস্থিত।
যীশুর জন্মের কিছু সময় পর, পূর্ব দেশের থেকে কয়েকজন জ্যোতিষিরা আকাশের একটি বিশেষ তারা-কে অনুসরণ করে। তারা আকাশে হঠাৎ-ই এক উজ্জ্বল তারা দেখতে পান, যা তারা অনুসরণ করতে করতে রোম-এ আসতে বাধ্য হন।
আসলে, ওই উজ্জ্বল আলোকে আলোচিত তারাটি হঠাৎ আকাশে উদয়ের অর্থ হলো, ইহুদিদের এক নতুন রাজা জন্মগ্রহণ করেছেন। সেই রাজাকে সম্মান জানাতেই, সুদূর দিগন্ত থেকে বৈৎলেহেমে এসে উপস্থিত হলেন; তারাটি ওই জ্যোতিষিদের নিয়ে গেল সেই আস্তাবলের সামনে, যেখানে শিশুরূপে যীশু শায়িত ছিলেন তাঁর পিতা-মাতার সাথে।
অবাক বিস্ময়ে তারা দর্শন করলেন তাদের প্রকৃতই ভাবীকালের অধীশ্বরকে ---- রাজাকে --- প্রভুকে।
ভাবতে লাগলেন: এ কেমন রাজা! যে দীনহীনের মতো আস্তাবলের পশুদের খেতে দেবার পাত্রের ভিতরে শায়িত!!! নেই কোনো বৈভব, আড়ম্বর --- কিংবা রাজমুকুটের নিদর্শন!!
অথচ, ওই শিশুর চোখে-মুখে এমন ঐশ্বরিক নিদর্শন ছিল, যা সমগ্র রাজৈশ্বর্যকে ছাপিয়ে গিয়েছিল!! এক স্বর্গীয় দ্যুতি চারিদিকে পরিব্যাপ্ত হয়ে ছিল।
তারা ওই শিশুটির শয্যার সামনে নতজানু হয়ে বসল; এক ভক্তি-মিশ্রিত শ্রদ্ধা আপতিত হলো তাদের চেতনায়। ভূমিষ্ঠ হয়ে প্রণাম করে, মানবতার ঈশ্বরকে তারা আরাধনা করল।
বিদায় গ্রহণের পূর্বে, ওদের সাথে থাকা সকল মূল্যবান দ্রব্য-সামগ্রী উপহার হিসাবে অর্পণ করলেন প্রভুর সামনে।
যীশু, যিনি পবিত্র আত্মার মানব-রূপ, তিনি মানুষের মধ্যেই থাকতে এসেছিলেন। তাদের মঙ্গল-সাধন করতে চেয়েছিলেন, তাদের স্বর্গরাজ্যের অধিবাসী করতে চেয়েছিলেন।
ধীরে ধীরে যীশু বড় হয়ে উঠতে লাগলেন। এবং ক্রমশঃ তাঁর বিকাশ লাভ হতে লাগল, হতে লাগল.. পূর্ণতার পূর্ণতা।
(ক্রমশ..)



