জম্মু ও কাশ্মীরে শ্রীনগরের ডাল লেকের উপর অবস্থিত বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘরের সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত!

জম্মু ও কাশ্মীরে শ্রীনগরের ডাল লেকের উপর অবস্থিত বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘরের সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: ভারতীয় ডাক পরিষেবার ইতিহাসে ৫০০ বছরের বেশি সময় ধরে রয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ডাকঘর রয়েছে ভারতে। যদিও ইন্টারনেটের যুগে ডাক পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। দেশের বেশ কিছু ডাকঘরের তো অস্তিত্বও মুছে গিয়েছে। তবুও ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রয়ে গিয়েছে ডাকঘর।
যদিও এরই মধ্যে এমন কিছু ডাকঘর রয়েছে যা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে এখন জনপ্রিয়। যার মধ্যে রয়েছে বিশ্বের উচ্চতম ডাকঘর, যা অবস্থিত হিমাচল প্রদেশের হিকিম গ্রামে। একই ভাবে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘরও রয়েছে এ দেশেই। সেটি এখন হটস্পট।
জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘর। শ্রীনগরের ডাল লেকের উপর অবস্থিত এই ভারতীয় পোস্ট অফিস। আর পর্যটকদের কাছে ডাল লেক সেই স্বর্গেরই অংশ। শিকারায় চেপে ভূস্বর্গের স্বাদ আস্বাদন করেন অনেকেই। শিকারায় চেপে বাজার দোকান করা, ফুলের ডালি সাজিয়ে নিয়ে বিক্রি করা তো রয়েছেই। সেই শিকারায় চেপেই আসতে হয় ভাসমান ডাকঘরে।
দূরে থেকে দেখলে মনে হবে না যে সেটা ভাসমান ডাকঘর। আর পাঁচটা সাধারণ শিকারা কিংবা হাউস বোটের মতোই কিছুটা দেখতে এই ভাসমান ডাকঘর। যদিও এই শিকারার সামনে টাঙানো রয়েছে ভারতীয় ডাকবিভাগের বোর্ড। বড় বড় অক্ষরে লেখা 'Indian Post'। প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ডাকঘর পরিষেবা দিয়ে আসছে। যদিও বর্তমানে এটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। শীতের এই মরশুমে এই ভাসমান ডাকঘরে উপচে পড়ে পর্যটকদের ভিড়।
ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় এই পোস্ট অফিস। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভগ্নপ্রায় অবস্থা হয়ে গিয়েছিল এই ডাকঘরের। ২০১১ সালে নতুন রূপে সাজানো হয় এই ডাকঘরটি। ২০১১-এর আগে পর্যন্ত এই ডাকঘর পরিচিত ছিল 'নেহেরু পার্ক পোস্ট অফিস' নামে। ২০১১ সালে এই নবরূপ ডাকঘরের উদ্বোধন করেন জম্মু কাশ্মীরের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। সেই সময় থেকে এই পোস্ট অফিস পরিচিতি লাভ করে 'ভাসমান ডাকঘর' নামে। আর এখন এটি শ্রীনগরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।
এখানে শিকারার মাধ্যমেই চিঠিপত্র আসে এবং রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় পৌঁছায়। এই ভাসমান ডাকঘরের ডাকটিকিটে 'ডাল লেক'-এর ছাপ রয়েছে। ভাসমান ডাকঘরে একটি ফিলাটেলি মিউজিয়াম বা ডাকটিকিট সংগ্রহশালা রয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই ডাকঘরেও এখন ইন্টারনেট পরিষেবা রয়েছে।


