শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তির কাজে খামতি, মিলছে না টাকা? খামতি দূর করতে নয়া পদক্ষেপ

শিক্ষাশ্রী প্রকল্পে প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তির কাজে খামতি, মিলছে না টাকা? খামতি দূর করতে নয়া পদক্ষেপ
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের (Shikshashree Project) আওতায় চলতি আর্থিক বছরের প্রি ও পোস্ট ম্যাট্রিক বৃত্তির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। রাজ্যে তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর পড়ুয়াদের বৃত্তির আবেদন জানানোর পদ্ধতিতে খামতি দূর করতে গরমের ছুটির পর কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন প্রশিক্ষণ শিবির খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্কুলের যেসব শিক্ষকরা এই প্রক্রিয়ারর আবেদনপত্র তৈরি করার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে এই শিবিরে যোগ দিতে হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। যোগ্য পড়ুয়ারা যাতে বৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় স্কুলগুলির সঙ্গে জেলাশাসকদের যোগাযোগ করে দ্রুত কাজগুলি করতে বলা হয়েছে।
অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতর (Department of Backward Class Welfare) সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে গত আর্থিক বছর সাড়ে নয় লক্ষ পড়ুয়াকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে। একই সময় প্রি-মাট্রিক অর্থাৎ দশম শ্রেণী বা তার নীচের ক্লাসে পড়েন এমন তফসিলি জাতি ও অন্যান্য পশ্চাদপদশ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা পেতে সমস্যা হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, যারা আবেদন করেছেন তাদের একটা অংশ আধার কার্ড ও জাতিগত শংসাপত্র আবেদনের সঙ্গে জমা দেয়নি। অনেকে আধার কার্ডের (Adhar card) নম্বর ভুল লিখেছে। পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট দেয়নি। এছাড়াও অনেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছে কিন্তু তার সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগ করা নেই। এর ফলে গত বছর থেকে তারা বৃত্তি পাচ্ছে না।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই আবেদনগুলি স্কুল থেকে অনলাইনে নির্দিষ্ট পোর্টালে করতে হয়। প্রতিটি স্কুলেই এজন্য একজন নোডাল শিক্ষক থাকেন। অনলাইনে আবেদন জানানোর সময় তথ্য পেশ করার ক্ষেত্রে ত্রুটি হচ্ছে। আধার কার্ডের ভুল নম্বর দেওয়ার এটাই কারণ বলে মনে করছে রাজ্য অনগ্রসর কল্যাণ দফতর। ফলে পড়ুয়ারা স্কলারশিপ বা বৃত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যাগ্রসর কল্যান সচিব সঞ্জয় বনশাল জেলাশাসকদের চিঠি দিয়ে ৩০ মে’র মধ্যে পড়ুয়াদের আবেদনে থাকা আধার কার্ড, শংসাপত্র, পারিবারিক আয়ের সার্টিফিকেট ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত ত্রুটি দুর করে পেশ করতে বলা হয়েছে।


