আন্দোলন নিয়ে কী এবার দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে কুড়মিরা, আন্দোলন কী আদৌ উঠলো

আন্দোলন নিয়ে কী এবার দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে কুড়মিরা, আন্দোলন কী আদৌ উঠলো
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: আদৌ কী কুড়মিদের আন্দোলন উঠলো। তা নিয়ে দেখা দিল সংশয়। যদিও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রেন ও সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কুড়মি সমাজের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো। চারদিন পর
টানা চারদিন ধরে ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি জাতীয় সড়কও অবরোধ করে কুড়মিরা। ফলে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এমন সময় অবরোধ তোলার কথায় স্বস্তি ফিরেছিল জঙ্গলমহলে।কিন্তু তারপর থেকেই ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে নানা পোস্ট। কুড়মি সম্প্রদায়ের নানা ব্যক্তি নানা বিষয় পোস্ট করছেন। তাতে তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন, অজিতপ্রসাদ মাহাতোর অবরোধ বা আন্দোলন উঠলেও কুড়মিদের আন্দোলন ওঠেনি। ঝাড়গ্রামের খেমাশুলিতে ট্রেন অবরোধও চালাচ্ছে কুড়মিরা।
প্রসঙ্গত, কুড়মিদের তপসিলি উপজাতির স্বীকৃতি ও কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু করে কুড়মিরা। কুড়মি সমাজের নেতা অজিতপ্রসাদ মাহাতো জানান, বলেন, ছ’টি রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে প্রায় থাকা দেড় কোটি মানুষ। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, অসম এবং ছত্তীসগঢ়ে বসবাসকারী কুড়মিরা (মাহাতো) কুড়মালি ভাষায় কথা বলেন। অথচ জাতীয়স্তরে এই ভাষার স্বীকৃতি মেলেনি। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কুড়মালি কে দ্বিতীয় ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। তা নিয়ে আন্দোলনে নামে কুড়মিরা।
শনিবার পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দার মাধ্যমে ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়। তাতে যোগ দেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের সচিব সঞ্জয় বনশল। বৈঠকে ইতিবাচক সাড়া মেলায় কুড়মিরা অবরোধ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের নামে যাতে কোনও মামলা না হয় সেটিও দেখার জন্য দাবি করেছেন কুড়মি সমাজের নেতা অজিত প্রসাদ মাহাতো।তারপর থেকেই কুড়মিদের একটি অংশ তা মানতে রাজি নন বলে শুরু করেছেন ফেসবুক পোস্ট। এমনকী আন্দোলনও তুলছেন না বলে তাতে জানাচ্ছেন.


