কুম্ভের জমায়েত আর নির্বাচনী সমাবেশ দ্বিতীয় তরঙ্গকে সক্রিয়তা দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলবে না তো?

কুম্ভের জমায়েত আর নির্বাচনী সমাবেশ দ্বিতীয় তরঙ্গকে সক্রিয়তা দিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলবে না তো?
ভারত যখন দ্বিতীয় কোভিড-১৯ তরঙ্গের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আর বিভিন্ন রাজ্যের সরকার লকডাউন করতে বাধ্য হচ্ছে। সেখানে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী সমাবেশ এবং হরিদ্বারের কুম্ভ মেলা কোভিড- ১৯-এর বিস্তারে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় এমন তথ্যই উঠে আসছে।
এই দু'ই - অতি স্পর্শকাতর বিষয়ের সঙ্গে আপোষ করতে গিয়ে দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার হরিদ্বারে পিল পিল করে মানুষ শাহী স্নান সেরেছেন। এমন পরিস্থিতিতে এবার এর কী খুব প্রয়োজন ছিল?ভারতে কোভিড-১৯- এর দ্বিতীয় তরঙ্গ মহামারীটির প্রথম তরঙ্গের চেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং এবং আগ্রাসী বলে প্রমাণিত হয়েছে।
গতবছরের লকডাউনে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। তার ঘা এখনও শুকোয়নি। ২০২১ সালে সাড়ে তিন মাসের মধ্যে, দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাটা কেবলমাত্র ২০২০ সালের উচ্চতর সংখ্যাকে শুধু ছাড়িয়েই যায়নি বরং তিনগুণ বেড়েছে। হাসপাতালের বাইরে শ্মশানে এবং অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ সারিতে মরদেহ রেখে দেহ নিয়ে দেশজুড়ে মহামারীর প্রভাব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
মহামারীটির প্রভাব কেবলমাত্র মেট্রো শহরগুলিতেই নয়, ছোট ছোট শহরেও অনুভূত হচ্ছে - বিছানা এবং অক্সিজেন সরবরাহের সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে ।
২২ এপ্রিল পর্যন্ত ভারতে মহামারীতে প্রায় ১.৮৫ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। একদিনে ৩.১৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন।
তবে, স্বাস্থ্য সঙ্কটের তীব্রতা সত্ত্বেও, হরিদ্বারের কুম্ভমেলা আর নির্বাচনী সমাবেশ এবং ধর্মীয় জমায়েতগুলি অব্যাহত থাকছে। যা এই অতিমারীর গ্রাফকে প্রতিদিন বাড়াচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আবেদনের পরে কেবল ১৭এপ্রিল কুম্ভমেলার আয়োজকরা হরিদ্বারে বিপুল সংখ্যক লোককে জড়ো না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ১ মার্চ থেকে ২২ এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৬,০০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১ এপ্রিলের মধ্যে কুম্ভমেলা শুরু হওয়ার পরে এবং ধর্মীয় জমায়েত শুরু হওয়ার সময় ১৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৪৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন ঘটনাগুলি প্রতিদিন সুপার স্প্রেডার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।


