আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপের অজানা তথ্য জেনে নিন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিশ্বকাপের অজানা তথ্য জেনে নিন
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদনঃ বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিযোগিতা। ৪ বছর অন্তর এ টুর্নামেন্ট হলো ওয়ানডে বিশ্বকাপ, যা আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। সর্ব প্রথম একদিনের বৈশ্বিক আসর বসে ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে। তখন থেকে টানা ৩ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর খ্যাত দেশটিতে।
১৯৮৭ সালে নতুন প্রক্রিয়া চালু করে আইসিসি। সেই অনুযায়ী, বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়। ওই ধারাবাহিকতায় এবার দায়িত্ব পেয়েছে ভারত।
মাঝে মধ্যেই ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফরম্যাট পরিবর্তন হয়। প্রথম ৪ টুর্নামেন্টে ছিল ৮টি দল। সেইসময় ২ স্তরে খেলা অনুষ্ঠিত হতো - গ্রুপ পর্ব ও নকআউট পর্ব। প্রতিযোগিতায় ৪ দল গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হতো। প্রতি গ্রুপের শীর্ষে থাকা ২ দল সেমিফাইনালে উঠতো। সেমিতে বিজয়ীরা ফাইনালে শিরোপার জন্য লড়তো।
বর্ণবাদ বয়কটের পর ১৯৯২ সালে পঞ্চম বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেবার ৯ দল গ্রুপ পর্যায়ে একে অপরের সঙ্গে খেলে। সেখান থেকে সেরা ৪ টিম সেমিতে উঠে।
১৯৯৬ সালে ৬ দলের ২ গ্রুপ নিয়ে আসর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি গ্রুপের শীর্ষ ৪ দল কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায়। সুপার এইটে জয়ী দল সেকেন্ড ফাইনালে পৌঁছে। ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে নতুন ফরম্যাট প্রবর্তন হয়। সেই আসরে দলগুলোকে ২ গ্রুপে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি পুলের শীর্ষ ৩ দল সুপার সিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। সেখান থেকে সেরা ৪ টিম সেমিফাইনালে উঠে।
২০০৭ সালে আসরে গ্রুপ ভাগ করে খেলা হয়। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষে থাকা ২ দল সুপার এইটে ওঠে। প্রথম ৪ টিম সেমিতে পৌঁছে। ২০১১ ও ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে (World Cup) দুটি গ্রুপ করা হয়। প্রতি গ্রুপে ৭ দল ছিল। পরে কোয়ার্টার, সেমি ও ট্রফি নির্ধারণী ম্যাচ হয়।
২০১৯ বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা কমে ১০-এ দাঁড়ায়। ১৯৯২ আসরের মতো রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে একে অপরের বিপক্ষে খেলে। সেখান থেকে সেরা ৪ দল সেমিতে উত্তীর্ণ হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপও একই নিয়মে হচ্ছে।
বিশ্বমঞ্চে বিজয়ীদের সোনালি ট্রফি দেওয়া হয়। বর্তমানের ট্রফিটি ১৯৯৯ সালের জন্য তৈরি হয়েছিল। এটি টুর্নামেন্ট ইতিহাসের প্রথম স্থায়ী পুরস্কার। এর আগে প্রতি আসরে আলাদা ট্রফি তৈরি করা হতো।
গ্যারার্ড অ্যান্ড কোম্পানির কারিগরদের একটি দল এখন প্রচলিত ট্রফির নকশা করে। লন্ডনে যা প্রস্তুত করতে লাগে ২ মাস। রুপা ও স্বর্ণ দিয়ে এটি তৈরি করা হয়। এতে রূপোর ৩টি স্ট্যাম্প ও বেল এবং ১টি স্বর্ণের বল রয়েছে। সেগুলো দিয়ে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংকে বোঝানো হয়েছে।
ট্রফির উচ্চতা প্রায় ৬০ সেন্টিমিটার। ওজন প্রায় ১১ কেজি। ট্রফির উপর পূর্ববর্তী চ্যম্পিয়নদের নাম খোদাই করা থাকে। মূল ট্রফিটি নিজেদের কাছে রাখে আইসিসি(ICC)। শুধুমাত্র প্রতিলিপি স্থায়ীভাবে বিজয়ী দলকে দেয়া হয়।


