পুরনো ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে গত বছরের মতো এবছরও ত্রিবেনীর কুম্ভ ঘাটে মহাসমারোহে পালিত হবে মকর সংক্রান্তির কুম্ভ স্নান!

পুরনো ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে গত বছরের মতো এবছরও ত্রিবেনীর কুম্ভ ঘাটে মহাসমারোহে পালিত হবে মকর সংক্রান্তির কুম্ভ স্নান!
আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: কুম্ভমেলা মানেই লক্ষাধিক মানুষের উপচে পড়া ভিড়। পুণ্য অর্জনের আশায় কুম্ভমেলা উপলক্ষে বহু মানুষ হরিদ্বারে আসেন। প্রতি চার বছর অন্তর হয় এই কুম্ভমেলা। হরিদ্বারে মকর সংক্রান্তির ভোরে কুম্ভ প্রধান সবচেয়ে পবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু জানেন কি হরিদ্বারের কুম্ভমেলার সঙ্গে বাংলার গভীর সম্পর্ক আছে? আরও ভাল করে বললে প্রথম কুম্ভ স্নান নাকি এই বাংলারই এক জনপদে শুরু হয়েছিল!
কথিত আছে, আজ থেকে প্রায় ৭৫০ বছর আগে এই কুম্ভমেলা নাকি হত হুগলির ত্রিবেণীতে। তখনও হরিদ্বারে কুম্ভ আয়োজন শুরু হয়নি বলে জানা যায়। সেই পুরনো ঐতিহ্য মাথায় রেখে গত বছর থেকে ত্রিবেণীতে ফের শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। সেই মত এই বছরও ত্রিবেনীর কুম্ভ ঘাটে মকর সংক্রান্তির কুম্ভ স্নান। এই কুম্ভে যোগ দিতে গত বছরই দেশের নানান প্রান্ত থেকে প্রায় ১০০ জনের উপর সাধু-সন্ন্যাসীরা এসেছিলেন। এই বছর সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে অনুমান আয়োজকদের।
হুগলির ত্রিবেণীতে তিনটি নদীর সংযোগস্থল। সেই কারণে পুণ্যার্থীদের কাছে এটি দীর্ঘদিন ধরেই তীর্থস্থানের মর্যাদা পেয়ে আসছে। বিষুব সংক্রান্তির কুম্ভ নাকি সর্ব প্রথম ত্রিবেণীতেই শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে নবাবদের শাসনকালে তা স্থানান্তরিত হয়ে চলে যায় উত্তরাখণ্ডে। তবে শেষ দু'বছর ধরে আবারও নাগা সাধুরা ফিরে আসছেন ত্রিবেণীতে।
এই বছরেও কুম্ভ মেলার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। ইতিমধ্যেই মেলা প্রাঙ্গণে যাগ-যজ্ঞের মাধ্যমে মেলার সূত্রপাত হয়ে গিয়েছে। গঙ্গাসাগর মেলা মিটলেই ধীরে ধীরে সাধু-সন্ন্যাসীরা ত্রিবেনীর কুম্ভ ঘাটে আসতে শুরু করবেন। তাঁদের থাকার জন্য পাশের মাঠে আলাদা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সাধু নিজেদের আখড়া বসিয়েছেন এই মাঠে। এই কুম্ভ ঘিরে স্থানীয় মানুষদেরও উৎসাহ তুঙ্গে উঠেছে। স্থানীয়দের আশা, ধীরে ধীরে হরিদ্বারের মতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ত্রিবেণীর কুম্ভ।


