জঙ্গলমহল ও সরস্বতী পুজো, করোনাকাল কাটিয়ে বাগদেবীর আরাধনায়

জঙ্গলমহল ও সরস্বতী পুজো, করোনাকাল কাটিয়ে বাগদেবীর আরাধনায়
26 Jan 2023, 01:00 PM

জঙ্গলমহল ও সরস্বতী পুজো, করোনাকাল কাটিয়ে বাগদেবীর আরাধনায়

 

ডঃ সুবীর মণ্ডল

 

আমার চোখে, এ- বছরের সরস্বতী পুজো। বিশ্ব জুড়ে মহামারির ভয়াবহ দাপটে বিগত দু 'বছর নমো নমো করে দেবী সরস্বতীর পুজো হয়েছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। খুশি মনে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেনি। মনে একটা কষ্ট ও সীমাহীন আফশোষ ছিল। এ-বছর পরিবেশ ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুরোপুরি অনুকূল। পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতীর পুজোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। এবার অনেকটাই উৎসবের মেজাজে সরস্বতীর পুজোর আয়োজন স্কুল-কলেজে। স্বস্তিতে অভিভাবকগণ। উৎসাহ ও উদ্দীপনা সঙ্গে সরস্বতীর পুজোর আয়োজন চলছে। চারিদিক জুড়েই একটা অনাবিল আনন্দের ছবি। পুজোর কেনাকাটার ব্যস্ততার চিরপরিচিত দৃশ্য গ্রামের পর গ্রামে। গ্রামের ক্লাব গুলোর মধ্যে ব্যস্ততার চিরপরিচিত দৃশ্য দেখলাম। আমাদের ভালোবাসার শহর জুড়েই পুজোর বর্ণিল প্রস্তুতিপর্ব। নান্দনিক আলপনায় রঙিন হয়ে উঠছে পূজার প্রাঙ্গণ। স্বপ্নপূরণের নেশায় বুঁদ হয়ে আছে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা। হাতে সময় ছিল। তবুও আয়োজনে একটা উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে।

গত মঙ্গলবার পুজোর দুদিন আগেই সকালেই শহর থেকে সামান্য দূরে একটি সবজির মাঠে সবুজের টানে গিয়েছিল। গত দু'বছর এমন বাসন্তী মাঠ দেখেছি বলে মনে হয়নি। মনে মনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। বসন্ত পঞ্চমী বাগদেবীর আরাধনা করবার জন্য উদ‍্যোগী স্বপ্নপূরণের নেশায় মশগুল কচিকাঁচার দল। বাঁশ হাতে, দড়ি হাতে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে থাকছিল যারা গত কিছুদিন ধরে, তাদের এত পরিশ্রম  সার্থক হোক। চমুকুটমণিপুরের মেন রোড ছেড়ে গাড়ি যখনই একটু গ্রামের ভিতরে ঢুকতে চেয়েছে তখনই বাধা পেলাম কয়েকটি শিশু-কিশোর কিশোরীর দ্বারা। রেগে গিয়েছিলাম, কিছুটা সংযত হয়ে রাগী কন্ঠে 'সরস্বতী' বানান বলতে বললেই এ ওকে ঠেলে, ও তাকে। খুব ঘন ঘন আটকে পড়তে থাকতে বিরক্তও হয়েছি, রেগে গেছি। সোনালী শৈশবের ছবি আঁকার চেষ্টা করছি। এক সময় আমিও এই ভাবেই  পুজোর চাঁদা তুলতাম। তবু আজ বাগদেবীর কাছে এখন কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা -- বিগত বছরের করোনার ভয়াবহ পরিবেশ পুরোটাই কাটিয়ে দাও মা। বাঁশের কঞ্চি, সঙ্গে প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে প‍্যাণ্ডেল বানানোও চলছে তার মধ্যে। মন চাইছে পুজোর প্রস্তুতিপর্ব যেন নষ্ট না। সাধ্যমত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন গুরুকুল। অত্যন্ত অনুকূল পরিবেশে জঙ্গলমহলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সুন্দর ডেকোরেশনের শেষ চেষ্টা করে চলেছে। সময়ের হাত ধরেই মেঘ মুক্ত আকাশ, পড়ন্ত শীতের হিমেল বাতাস আর সোনাঝরা রোদ্দুরের হাতছানি। মন ভাল হয়ে গেল। বুধবার সকাল থেকেই মেতে উঠেছে সবাই। সকাল আটটায় বেরোলাম।

সর্বত্রই দেবীর আরাধনায় শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছে। নানান  জনের কাছ থেকে শুনলাম, জঙ্গলমহলসহ সমস্ত জেলা জুড়েই চূড়ান্ত  প্রস্তুতিপর্ব চলছে জোরদার। বহুদিন শিক্ষার্থীদের কাছে এক পরম প্রাপ্তি। বাঙালির কাছে এক বড় উৎসব সরস্বতী পুজো। এক আকাশ স্বপ্ন  নিয়ে সামিল হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এক বর্ণিল দৃশ্য সৃষ্টি হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অঙ্গনে। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। প্রতিমা, আলো, সাজসজ্জায় অভিনবত্বের ছোঁয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে ভক্তি ভাবনার ক্ষেত্রে ভাঁটা পড়েছে বলে মনে হয়। এই পুজো ঐতিহ্য পরম্পরায় আজও চিরভাস্বর। ভক্তিনম্র চিত্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র- ছাত্রীরা প্রাণের আকুতি দিয়ে দেবীর নিকট তাদের ব্যক্তিগত আশা-আকাঙ্খা নিবেদন করবে। করোনার আবহে পুজোর জিনিসপত্রের দাম এ বছর অগ্নিমূল্য। এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খিচুড়ি ভোগের রেওয়াজ  ছিল। এ বছর সেটা হয়ত তেমনভাবে হবে না। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ক্ষত চিহ্ন আজও বহন করে চলেছে দেশ। তাই সাবধানী পদক্ষেপ নিয়েছে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। অন্তহীন উৎসাহের কোন অভাব নেই। দোকানে-দোকানে সেই  আগের মতো  ভিড়। ভাল ভাবে পুজোর প্রস্তুতিপর্ব এই মুহূর্তে শেষ পর্যায়ে। চারিদিক জুড়েই চরম ব্যস্ততার চিরপরিচিত দৃশ্য। আলো ঝলমল আকাশের জন্য সবাই প্রার্থনা করছে এই মুহূর্তে।

সরস্বতী পুজো হিন্দু বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠেয় একটি অন্যতম প্রধান হিন্দু উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা আয়োজিত হয়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। শ্রীপঞ্চমীর দিন অতি প্রত্যুষে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদের গৃহ ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণের প্রথাও প্রচলিত। পূজার দিন সন্ধ্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সর্বজনীন পূজামণ্ডপগুলিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়। পূজার পরের দিনটি শীতলষষ্ঠী নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গে কোনো কোনো হিন্দু পরিবারে সরস্বতী পূজার পরদিন অরন্ধন পালনের প্রথা রয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ বঙ্গের বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরের মানুষ পান্তা ভাতের উৎসবে মেতে ওঠেন।

শ্রীপঞ্চমীরদিনঅতিপ্রত্যুষে বিভিন্নশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রছাত্রীদেরগৃহওসর্বজনীন পূজামণ্ডপে দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয়। ধর্মপ্রাণ হিন্দু পরিবারে এই দিন শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজনও পিতৃতর্পণের প্রথাও প্রচলিত।

শ্রীপঞ্চমী পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্রঃ

ওঁ জয় জয় দেবী চরাচরসারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।

বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।।

ওঁ সরস্বত্যৈ নমো নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমো নমঃ

বেদবেদান্তবেদাঙ্গ বিদ্যাস্থানেভ্য এব চ।

এষ সচন্দন পুষ্পবিল্বপত্ৰাঞ্জলি সরস্বত্যৈ নমঃ॥

 

পুরাণ অনুযায়ী ব্রহ্মা জগৎ সংসার সৃষ্টি করেন গাছপালা, জীবজন্তুসৃষ্টিত্ত্বও কোনও কিছুর অভাব লক্ষ্য করেন। তখন তিনি নিজের কমন্ডল থেকে জল ছেটালে এক স্ত্রী প্রকট হন। তাঁর এক হাতে বীণা ও অপর হাতে পুস্তক ছিল। আবার তৃতীয় হাতে মালা ও বরমুদ্রায় ছিল চতুর্থ হাত। তিনিই সরস্বতী। সরস্বতীর বীণা বাদনের সঙ্গে সঙ্গে সংসারের সমস্ত জিনিসে স্বরের সঞ্চার হয়। বসন্ত পঞ্চমীর দিনেই সরস্বতীর উৎপত্তি। সে সময় থেকেই দেবলোক ও মৃত্যুলোকে সরস্বতী আরাধনা শুরু হয়।

এই দিনটি বসন্ত পঞ্চমী বা সরস্বতী পুজো ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় উৎসব।হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে বসন্ত পঞ্চমী রূপে পালন করা হয়। এই দিনটি জ্ঞান, বাণী এবং শিল্পের দেবী মা সরস্বতীর পুজো। হিন্দু ধর্মে সরস্বতী পূজার দিন শিশুর প্রথম ধারাবাহিক বা অক্ষর জ্ঞান শুরু করার শিক্ষার প্রথা রয়েছে। বসন্ত পঞ্চমীর দিন সরস্বতী পূজা কেন শুরু হল, এর জন্যও পৌরাণিক কাহিনি রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক ২০২৩ সালের সরস্বতী পূজার সময়-তিথি ও পূজার মুহুর্ত।

পুজোর অন্দরমহল---

সরস্বতী বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এই দেবীকে আমরা বাণী, বীণাপাণি, বাগদেবী প্রভৃতি নামে আহ্বান করে থাকি। জ্ঞান, বিদ্যা ও সংগীত প্রভৃতি লাভের উদ্দেশ্যেই আমরা দেবী সরস্বতীর পূজা করে থাকি।

দেবীর গায়ের রং শুভ্র। সেইজন্যে তাকে আমরা  সর্বশুক্লা বলে থাকি। শ্বেত রাজহংস দেবীর বাহন ও শ্বেতপদ্ম দেবীর আসন। এই দেবী আমাদের সকল অজ্ঞানতা, সকল অন্ধতা, সকল বেদনা বিদূরিত করে আমাদের রক্ষা করে থাকেন।

মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে দেবীর পূজা হয়। এই বিশেষ তিথিটিকে ‘শ্রীপঞ্চমী’ বলা হয়। এই পূজায় বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বেশি আনন্দিত হয়।একমাস আগে থেকেই ছাত্রছাত্রীরা অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষা করতে থাকে। আগের দিন রাত থেকে ছাত্ররা পূজার আনন্দে মেতে ওঠে। ভোরবেলা পূজার জন্যে বাগান থেকে ফুল তোলে। পরে ছাত্রীরা স্নানাদি সেরে পুজোর আয়োজন করে। পুজোর পর তারা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে থাকে, কেউ কেউ প্রসাদ বিতরণ করে।

পূজার পরদিন মহাসমারোহে দেবী প্রতিমা কোনো জলাশয়ে বা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। এরপর বার্ষিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্যে ভালাে করে প্রস্তুত হবার পালা শুরু হয়।

এ-বছরের সরস্বতী পূজা ২০২৩ তারিখ ও মুহুর্ত ---

এ-বছর সরস্বতী পুজোর তারিখ ও তিথি- ২০২৩ সালে সরস্বতী পুজো পড়েছে ২৬ জানুয়ারি। বাংলায় ১১ মাঘ পড়েছে পুজোর তিথি। এই তিথি পড়ছে ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৬ টা থেকে। ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যে ৬ টা বেজে ২০ মিনিট ১১ সেকেন্ডে এই তিথি পড়েছে।

শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, শ্রীপঞ্চমীর দিন সকালেই সরস্বতী পূজা সম্পন্ন করা যায়। তিথিটি শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশেষ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়। সরস্বতীর পূজা সাধারণ পূজার নিয়মানুসারেই হয়।  যথাবিহিত পূজার পর লক্ষ্মী, নারায়ণ, দোয়াত-কলম, পুস্তক ও বাদ্যযন্ত্রেরও পূজা করার প্রথা প্রচলিত আছে। এই দিন ছোটোদের হাতেখড়ি দিয়ে পাঠ্যজীবন শুরু হয়।পূজান্তে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার প্রথাটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের দল বেঁধে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়.

শেষকথা-- অন্যান্য বছরের  তুলনায়  এ- বছরের  সরস্বতীর  পুজোর  পেক্ষাপট  আলাদা।  করোনার তৃতীয় ঢেউ পুরোপুরি  স্তিমিত। তবু সতর্ক  পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সবাই। স্কুলে-স্কুলে হাম-রুবেলা ভ্যাকসিন  হয়ে গেল। ভাবনা এটাই পুজোর  আনন্দ যেন নিরানন্দ সৃষ্টি না করে।যদিও অজানাএকটা ভয়ের বাতাবরণ  আছে। তবে একে জয় করতে হবে সাবধানী পদক্ষেপের মধ্যেই। আকাশে, সোনাঝরা হেমাঙ্গ  রোদ্দুর আর বাতাসে পড়ন্ত শীতের হিমেল  হাতছানির মধ্য দিয়েই আমরা  বরর্ণ করে নিয়়েছি নতুন বছরকে।ফেলে আসা অভিশপ্ত বছরের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব-নিকেশ আমরা প্রায় চুকিয়ে ফেলেছি।করোনার ভয়াবহ পরিবেশ আর ততটা নেই। নতুন বছরে এ -আমাদের পরম প্রাপ্তি। উৎসব মুখর  শীতের  শেষ বেলায় বাগদেবীর আরাধনা বাঙালির সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞান। আধুনিক প্রযুক্তির  অভাবনীয় ও সভ্যতার দৃষ্টিনন্দন  উন্নতি হলেও  মানুষের  মনোজগতের অন্ধতমস দূর হয়়নি আজও। তবুও আমরা মহামারীর অন্ধকারের  মাঝে আলোকিত জীবনের প্রয়াসী। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবার  গৌরবময় উপস্থিতিতে এ- বছরের মাতৃবন্দনায় উচ্চারিত হোক শুভশক্তির বিজয়বার্তা।

লেখক: শিক্ষক, খাতড়া হাইস্কুল, বাঁকুড়া

Mailing List