মুরগি পালন করলেই হবে না, মুরগির যে ২১ রকম রোগ হয় তাও জানা জরুরি

মুরগি পালন করলেই হবে না, মুরগির যে ২১ রকম রোগ হয় তাও জানা জরুরি
29 Oct 2023, 02:30 PM

মুরগি পালন করলেই হবে না, মুরগির যে ২১ রকম রোগ হয় তাও জানা জরুরি

 

আনফোল্ড বাংলা প্রতিবেদন: মুরগি পালন লাভজনক হলেও এদের নানা প্রকার রোগ হয়ে থাকে। মুরগির বাচ্চা থেকে শুরু করে বাজার জাত করা পর্যন্ত রোগ গুলি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে বিপদ। খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রোগের নাম, তালিকা, লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, রোগ পরিচিতি ও কি রোগ হয়েছে এই বিষয়ে সঠিক তথ্যও জানা জরুরি।  

মুরগির রোগের নাম-

ক্রমিক নং      রোগের নাম

০১       রানিক্ষেত রোগ

০২      এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস বা বার্ড ফ্লু

০৩      পুলোরাম রোগ – Pullorum Diseases

০৪      ফাউল কলেরা – Fowl cholera

০৫      ইনফেকশাস কোরাইজা – Infectionus Coryza

০৬      ওম্ফ্যালাইটিস – Omphalitis

০৭      নেক্রোটিক এন্টারাইটিস – Necrotic Enteritid

০৮      কলিব্যাসিলোসিস – Colibacillosis

০৯      এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস – Avian mycoplasmosis.

১০       ব্রুডার নিউমোনিয়া – Aspergillosis

১১       মাইকোটক্সিকোসিস – Mycotoxicosis

১২       এভিয়ান পক্স বা বসন্ত রোগ – Avian Pox.

১৩      করোনা ভাইরাস – Corona virus

১৪       গামবোরা রোগ – Infection Bursal Disease

১৫      মারেক্স রোগ বা প্যারালাইসিস -Mareks Disease / Fowl Paralysis

১৬      লিম্ফয়েড লিউকোসিস – Lymphoid Leukosis

১৭       কৃমি বা পরজীবি দ্বারা সৃষ্ট রোগ –

১৮      রক্ত আমাশয় বা ককসিডিওসিস – Coccidiosis

১৯       ঠোকরা ঠুকরি বা ক্যানিবলিজম -Cannibalism

২০      পেটে পানি জমা বা এসাইটিস – Ascites

২১       হিট স্ট্রোক – Hit stroke

 

০১) রানিক্ষেত রোগ – New Castle Diseases

মুরগির প্যারামিক্রো ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রানিক্ষেত রোগ মুরগির খামারের সর্বাধিক ক্ষতি করে। সমস্ত বয়সের মুরগি এই রোগে আক্রান্ত হয়।

০২) এভিয়ান ফ্লু ভাইরাস বা বার্ড ফ্লু

এভিয়ান ইনফ্লু ভাইরাস জনিত রোগ। এটি একটি ছোয়াচে রোগ। এই রোগ গুলিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি তাই এই রোগকে মুরগির প্লেগ রোগ বলা হয়। বার্ডফ্লুও বলে থাকে।

০৩) পুলোরাম রোগ – Pullorum Diseases

পুলোরাম রোগ একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। সালমোনেলা পুলোরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে এই রোগ হয়। ৩ সপ্তাহ এর কম বয়সি মোরগ মুরগি তে এই রোগ বেশি হয়ে থাকে। এই রোগে মুরগির মৃত্যুর হার ১০০% হয়ে থাকে।

০৪) ফাউল কলেরা – Fowl cholera

ফাউল কলেরা এই রোগ টি একটি খুব পরিচিত রোগ। পাস্তরেলা মাল্টাসিভা নামক ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। এই ব্যাকটেরিয়াটি ফাউল কলেরা রোগের জন্য দায়ী। বয়স্ক মোরগ ও মুরগি দের এই রোগ বেশি দেখা যায়। আত্যাধিক গরমে এই রোগ বেশি দেখা যায়। এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

০৫) ইনফেকশাস কোরাইজা – Infectionus Coryza

হিওফিলাস প্যারাগ্যালিনেরাম নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই রোগের জন্য দায়ি। মুরগি ঘরে সঠিক ভাবে বাতাস না চলাচলা করলে, লিটার বেশি পুরাতন হলে ইত্যাদির জন্য এনেমানিয়া গ্যাস জমা হলে এই রোগ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

 

০৬) ওম্ফ্যালাইটিস – Omphalitis

ওম্ফ্যালাইটিস একটি জীবণু রোগ তবে এটি সংক্রামক রোগ নয়। ব্যাবস্থাপনার ত্রুটির কারনে এই রোগ হয়ে থাকে। লিটারে আদ্রতা বৃদ্ধি পেলে, তাপমাত্রা ও আদ্রতা খুব বেশি বা কম হলে এবং পরিবহন জনিত সমস্যার কারনে এই রোগ হয় থাকে। মৃত্যুর হার ১৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে ।

 

০৭) নেক্রোটিক এন্টারাইটিস – Necrotic Enteritid

 

ক্লোষ্ট্রডিয়াম পারফ্রিনজেন্স নামক একটি ব্যাকটেরিয়া এই নেক্রোটিক এন্টারাইটিস রোগের কারণ। ২ থেকে ১২ সপ্তাহ বয়সের মুরগিদের এই রোগ বেশি হয়ে তাকে। পুরাতন লিটার ব্যবহার করলে এই রোগ হয়ে থাকে। রোগ টি হলে ডানা ঝুলে পড়ে, ঠোট দিয়ে লালা পড়ে ইত্যাদি অন্যতম লক্ষণ ।

 

০৮) কলিব্যাসিলোসিস – Colibacillosis

 

ই-কলাই নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্টি রোগ কে কলিব্যাসিলোসিস রোগ বলে । এই জীবানুটি বিভিন্ন রকম রোগ সৃষ্টি করে থাকে। যেমন, শরির দুর্বল করে তলে, ঝিমাই, শরীরে তাপ বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি হল এর লক্ষণ ।

 

০৯) এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস – Avian mycoplasmosis.

এভিয়ান মাইকোপ্লাজমোসিস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাস তন্ত্রের অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জটিলতায় হয় তাহলে তখন একে সিআরডি রোগ বলে । এর উপসর্গ হল শরীর দূর্বল হয়ে পড়ে। এই রোগে মুরগির ওজন ও ডিম কমে যায় ।

 

১০) ব্রুডার নিউমোনিয়া – Aspergillosis

এসপারজিলাস ফিউমিগ্যাটাস নামে এক ধরনের ছাত্রাক এর কারণে এ রোগের উৎপত্তি । এই ছাত্রক শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে এই রোগ ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং ধিরে ধিরে বাচ্চা গুলো মারা যায় । প্রচুর পানি খাই , শরির গরম হয়ে যায় ।

 

Mailing List